

পাবলিক ভয়েস : কক্সবাজার কলাতলিস্থ লাইট হাউজ মাদরাসা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি দৃস্কৃতকারি চক্র বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীরা বলে, চক্রটি তাদের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় অত্র প্রতিষ্ঠানের মুহতামিমের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ আলী। তিনি বিগত তিন বছর পূর্বে অত্র প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরে স্বল্পতম সময়ে অকল্পনীয় উন্নয়ন করেছেন । অত্র প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থায় তার যোগ্য নেতৃত্বে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। ইতিমধ্যে মাদরাসা মার্কেটের একজন ভাড়াটিয়া অসাধু উপায়ে অন্যজন লাইট হাউজকে ভাড়া দেয়া একটি দোকান জোরপূর্বক তার দখলে রেখে দুবছর পর্যন্ত ভোগ করেন।
উক্ত সময়ের কোন ধরনের ভাড়া না দিয়ে নানা বাহানা শুরু করেন। তার সাথে আরেকজন সভাপতি পদবির বাহানা দিয়ে দোকানের ভাড়া ও সেলামি বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। মাদরাসার মুহতামিম উক্ত টাকা আদায়ের কথা বললে, দুজন মিলে মুহতামিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে দেন।
এই ষড়যন্ত্রে উপরোক্ত দুজন দুস্কৃতকারি সর্ম্পুণ অবৈধভাবে মুহতামিমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে মর্মে কয়েকদিন ধরে ভুঁয়া কাগজপত্র তৈরী করে অপপ্রচারে নেমে পড়েন।
এদিকে মুহতামিমের বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্র এবং ওই দুই ব্যক্তির নানা অনিয়মের যথাযথ বিচার চেয়ে কয়েকদিন যাবত প্রতিষ্ঠানে উত্তেজনা চলছে। গতকাল সোমবার (১৪ জানুয়রারি-২০১৯) থেকে শুরু হওয়া কিতাব বিভাগের ২য় সাময়িক পরীক্ষা সকল শিক্ষার্থী বর্জন করেছে। তারা মাদরাসা প্রাঙ্গনে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মুহতামিমের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানায়। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা সকাল ৮:টা থেকে, রাত ৯:টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকে।
পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে, ওইদিন রাত ১০ টার দিকে (১২) নং ওয়ার্ড কমিশনার কাজী মুরশেদ আহমদ বাবু স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদরাসা স্থলে পৌঁছেন।
এরপর ছাত্ররা তাদের লিখিত অভিযোগটি কাউন্সিলর বাবুকে প্রদান করলে, তিনি তা-দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। ফলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসে।
এবং পরে তিনি মাদরাসার সকল শিক্ষককদের সাথে পরামর্শ করে বলেন, মাও. মোহাম্মদ আলী সাহেবের মাধ্যমে ফের মাদরাসা পরিচালিত হবে।
ওয়ার্ড কমিশনার বাবুর এমন ঘোষণার ফলে প্রতিষ্ঠানে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। এবং সকল ছাত্র ও এলাকাবাসীরা স্বস্তির নিশ্বাস নেন।