

আশরাফ আলী ফারুকী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বৃহস্পতিবার টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানায়, নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীবান্ধব ও সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ গণআন্দোলনে ছাত্রসমাজের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সবসময় অপরাধমুক্ত, কল্যাণমুখী ছাত্র রাজনীতিতে বিশ্বাস করে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সংগঠনটি।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই একটি মহল ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা বলেন, “নিজস্ব প্রস্তুতির ঘাটতি ও জনসমর্থনের অভাবে কেউ কেউ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।” একইসাথে তারা ডাকসু নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
সংগঠনটি মনে করে, নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে সহাবস্থান, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং নেতৃত্ব গঠনের পরিবেশ তৈরি হবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে পেশিশক্তির দাপট, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ডাকসু নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হয়। ভিপি পদে ইয়াছিন আরাফাত, জিএস পদে খায়রুল আহসান মারজান ও এজিএস পদে সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ থেকে মনোনীত আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী এই প্যানেলে রয়েছেন।
নেতারা জানান, নির্বাচিত হলে তারা একটি নিরাপদ, বৈষম্যহীন ও প্রযুক্তি-সুবিধাসম্পন্ন শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে কাজ করবেন। এর মধ্যে থাকবে ছাত্রাবাসে পরিবেশ উন্নয়ন, রেজিস্ট্রার অফিস ডিজিটালাইজেশন, গবেষণাভিত্তিক স্কলারশিপ, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, দুর্নীতি প্রতিরোধে অভিযোগ সেল গঠন ও ছাত্ররাজনীতিতে রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহত্তর ছাত্রস্বার্থে প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়েও তারা ইতিবাচক।