দিয়া-রাজীবের মৃত্যু; ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
দিয়া ও রাজীব

রাজধানীর কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহণের বাস চাপায় রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুই বাসচালক ও এক হেল্পারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মহানগর জেলা জজ আদালত।

একই মামলায় খালাস পেয়েছেন এক বাস মালিক ও অপর বাসের হেল্পার। আদালত বলছেন, সড়কে গণপরিবহণের নৈরাজ্য কমাতে দৈনিক চুক্তিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

২০১৮ সালের ২৯ শে জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে রাস্তার পাশে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের উপর উঠে যায়। এ ঘটনায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ৯ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কলেজটির শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম রাজীব।

ওই ঘটনার পরে ফুঁসে ওঠে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে হাজারো শিক্ষার্থী মাঠে নামলে টানা কয়েকদিন রাজপথ চলে যায় তাদের নিয়ন্ত্রণে।

দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার বিচারিক আদালতের রায় পাওয়া গেল প্রায় দেড় বছর পরে। রায়ে দুই বাসের চালক ও এক হেল্পারকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন সাজা।

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আর আদালত তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, অদক্ষ চালকের অসুস্থ্য প্রতিযোগিতাই এই দুই শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যুর কারণ। দৈনিক চুক্তিতে মালিকদের বাসভাড়া দেয়া বন্ধ করা উচিত, এমন মন্তব্য আদালতের।

রুট পারমিট ও গাড়ির নিবন্ধন বাতিল হবার পরেও ভিন্ন নামে এখনো রাস্তায় চলছে জাবালে নূরের বাসগুলো। ট্রাফিক আইন ঠিকভাবে মান্য করা হচ্ছে কিনা সে দিকে লক্ষ রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ দিকে, রায় শুনতে আদালতে ভিড় করেছিল, সে সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাঠে নামা শিক্ষার্থীরাও। বাসের মালিক ও আরেক হেল্পারের খালাসের খবরে হতাশ তারা। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলে আরেক বাসমালিকের বিচার করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আই.এ/

মন্তব্য করুন