

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে
সম্মিলিত কওমি শিক্ষাবোর্ড আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ-এর প্রশ্নফাসেঁর কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মাও. মাহবুব ও আবু বকর সিদ্দিক। এছাড়াও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দিতে বেরিয়ে এসেছে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের নাম ।
প্রশ্নফাঁসের আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশালের একটি মহিলা মাদরাসার বিরুদ্ধে । সেই মাদরাসার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলকে উপস্থিত করারও চেষ্টা চলছে।
বোর্ড সুত্রে জানা জানা যায়, প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত সকলকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আইনি ব্যবস্থা কী হতে পারে তা নিয়ে আইনজীবীদের সাথেও আলোচনা হচ্ছে। ময়মনসিংহ থেকে আটক ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর সদস্য এবং বেফাকের সহ-সভাপতি মাও. মুসলেহুদ্দীন রাজু পাবলিক ভয়েসকে বলেন, তাকে এখনি আইনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে স্থানীয় শীর্ষ আলেমরা তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অঙ্গীকার করেন।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। তাদের ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কী হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে হাইয়ার আগামী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
অন্যদিকে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে ঢাকার যে দুটি বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম শোনা যাচ্ছিল তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ খুঁজে পাননি বলে দাবি করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যগণ। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে অভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।