
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের সম্মান উজ্জ্বল করতে নবীন নৌবাহিনী কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে কমিশন পওয়া কর্মর্তাদের সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০১৭/এ ব্যাচের ৬১ জন মিডশীপম্যান ও ২০১৯/বি ব্যাচের ১১ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৭২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেছেন। ৭ জন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন।
বেস্ট ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার হিসেবে এক্টিং সাব লেফ্টেনেন্ট কামরুজ্জামানকে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক, প্রশিক্ষণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান অর্জনে মিডশীপম্যান মো. সাইদিস সাকলাইন মিরানকে নৌপ্রধান স্বর্ণপদক ও সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান পাওয়ায় রাইয়ান রহমানকে সোর্ড অব অনার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও ভুরাজনৈতি প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নৌবাহিনীর উন্নতি করতে আমাদের সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে উত্তোরত্তর নৌবাহিনী শক্তিশালী হচ্ছে।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের পর আপনারা কাজে যোগ দিবেন। সব সময় মনে রাখবেন সততা ও একাগ্রতার সাথে কাজ করতে হবে। আপনার আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে দেশে মান-সম্মান আরো উজ্জ্বল করবেন। আমাদের সমুদ্রসীমায় রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সমুদ্র সম্পদকে অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, নৌবাহিনীর ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীন হতে ২টি মিসাইল ফ্রিগেট ও নির্মাণাধীন করভেট শীঘ্রই নৌবহরে যুক্ত হবে। একইসঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করভেট, মাইনহান্টার, ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ভেসেল ও সেইলিং শিপসহ বিভিন্ন জাহাজ ক্রয় এবং নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নেভাল এভিয়েশনের জন্য মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট, সাবমেরিন হেলিকপ্টার ও এলআরএমপিএ (লং রেঞ্জ মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট) কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ার লক্ষ্যে মিসাইল, আইএফএফ সিস্টেম সহ বিভিন্ন প্রকার আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের কাজও চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ ঘাঁটি ‘বানৌজা শের-ই-বাংলা’ এবং ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ ঘাঁটির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলেও তিনি উল্লেখ্য করেন।
এসময় তিনবাহিনীর প্রধান, নৌ সদর দপ্তরের পিএসও, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক, প্রবীণ রাজনীতিক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নৌ কমান্ডোসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক ও শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
/এসএস

