স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই!

প্রকাশিত: ১০:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই। আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ৮ টা ২৮ মিনিটে  রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

দীর্ঘদিন ধরে স্যার ফজলে হাসান আবেদ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৮ নভেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই আজ রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মাদ মুসা জানিয়েছে, আগামী পরশু ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর সাড়ে বারোটায় আর্মি স্টেডিয়ামেই নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

১৯৭২ সালে স্যার ফজলে হাসান আবেদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি পাবনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা বাদ দিয়ে তিনি লন্ডনের চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্টসে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি তার প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন।

১৯৮০ সালে র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার, ২০১১ সালে ওয়াইজ প্রাইজ অব এডুকেশন, ২০১৪ সালে লিও টলস্টয় ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল, স্প্যানিশ অর্ডার অব সিভিল ম্যারিট, ২০১৫ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পুরস্কার অর্জন করেন।

সর্বশেষ চলতি বছর তিনি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড, শিক্ষায় নোবেল খ্যাত ইয়াইদানপুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।

এছাড়াও তিনিই প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি যিনি রবিন্দ্রনাথের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তৃতীয় বাঙালি হিসেবে বিট্রিশ নাগরিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আখলাকুর রহমান চৌধুরী সর্বশেষ ২০১৭ সালে এ উপাধি পান।

/এসএস

মন্তব্য করুন