
দুর্নীতির জন্য সব অর্জন ম্লান হয় বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। প্রতিটি কর্মচারীকে চিন্তা করতে হবে, কতটুকু সেবা আমি দিতে পারলাম। নিজের পরিবারের সদস্যদের মতোই, দেশের মানুষের প্রতিও দায়িত্ব পালন করতে হবে। ঘুষ-দুর্নীতির বিষয়ে সাবধান হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আইন ও প্রশাসন কোর্সের সদন বিতরণ অনুষ্ঠানে নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণের সেবায় আইন ও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বানও জানান সরকারপ্রধান।
টেকসই উন্নয়নের জন্য সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে বাজ করার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয়ে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে কাজ করতে হবে। আগামী দিনে যারা রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন, তাদেরকেও উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। ২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের অর্জনগুলো ধরে রাখতে হবে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে উন্নীত হতে চাই। ২০৭১ এবং শতবর্ষের ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন করে আগামী প্রজন্মকে উন্নত ও বাসযোগ্য একটি রাষ্ট্র উপহার দিতে কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: ‘সেটা এখন আর নাই। আমরা যে হারে বেতন বাড়িয়েছি, কর্মকর্তাদের নিশ্চিন্ত রাখতে গাড়ি ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ দিয়েছি। সংসারটা যেনো তাদের কাছে বোঝা না মনে হয়। এগুলো করেছি কারণ আমি আরও ভালো কাজ চাই। আমার জন্য না দেশের জন্য কাজ।’
সততা ও আত্মত্যাগের সঙ্গে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতির জনকের অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচা পড়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। কর্মকর্তাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশে আজ ডিজিটাল সিস্টেমে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই মাধ্যম ব্যবহার করে আমাদের কাজ করতে হবে। আর যেন আমাদের পিছিয়ে পড়তে না হয়। বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেল বলা হচ্ছে, অনেকে আমাদের উন্নয়ন ম্যাজিকের বিষয়ে জানতে চান। সবাইকে বলি, আমাদের দেশপ্রেমের কারণেই এই উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে।
আই.এ/

