
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জরুরি ভিত্তিতে উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানি করায় প্রতিকেজির ভাড়া পড়েছে ১৫০ টাকার মত। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত ব্যবসায়ী ও ক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্লেনে করে আমদানি করতে পেঁয়াজের দাম বাদ দিয়েই আমাদের পরিবহন খরচ ১৫০ টাকার মত লেগেছে। তারপরও মানুষের উপকার করার জন্য আমরা প্লেনে পেঁয়াজ এনেছি। আজ যদি আমাদের যোগান ঠিক থাকতো তাহলে এত দাম বাড়তো না। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর সন্ধ্যায় ঢাকায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন হয়ে যায়।
রপ্তানি ঘোষণার বন্ধের পরে এ পেঁয়াজ আসেনি। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের সুযোগে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন, এফবিসিসআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ। পাশাপাশি, প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যক্রমের বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. ফরাসউদ্দিন।
এবং এর দেড় মাস আগে , এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমবে না বলেও জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীর এমন স্বীকারোক্তিতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। রাজধানীর এক জনসভায় তিনি ঘোষণা দেন, পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, দাম কমে যাবে। ঘোষণার চেয়ে কয়েকদিন দেরিতে হলেও বিমানে চড়ে পেঁয়াজ এসেছে। দেশে এসে পৌঁছেছে জাহাজভর্তি পেঁয়াজও। ইতোমধ্যে পাতাসহ পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। পাওয়া যাচ্ছে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খুচরা এখনো প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। সাভাবিক কারণেই জনমনে প্রশ্নের উদয় হচ্ছে, পেঁয়াজের দাম কমবে কবে?
এমএম/পাবলিকভয়েস

