
৩০জন করে আইনজীবি আদালতে প্রবেশ করতে পারবে মর্মে আদালত কর্তৃক সংখা বেঁধে দেয়ায় আদালতে ঢুকতে পারছেন না খালেদা জিয়ার আইনজীবিরা। আদালতে ঢুকতে না পেরে বাইরে বারান্দায় অপেক্ষা করছেন তারা।
উভয়পক্ষের ৩০ জন করে আইনজীবী আদালতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বাকিদের বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে শুরু থেকেই প্রবেশে কড়াকড়ি করায় প্রবেশ ফটকের বাইরে হট্টগোল হয়। পরে অনেকেই প্রবেশ করতে না পেরে জবাবদিহিতা চান প্রশাসনের কাছে। পরে শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপিল বিভাগে মামলা পরিচালনাকরীরা শুধু প্রবেশ করতে পারবে।
জানা গেছে, রাষ্টপক্ষের আইনজীবীদের অনেকের আপিল বিভাগে মামলা পরিচালনার অনুমতি না থাকার পরও আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ারপক্ষের আইনজীবিরা প্রবেশ করতে পারিছলেন না। এ নিয়ে শুরু হয় হট্টগোল। এ বিষয়ে আপত্তি জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
মাহবুব হোসেন প্রধান বিচারপতিকে বলেন, অনেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলও এখানে আছেন। কিন্তু আমার অনেক আইনজীবী বাইরে। এই বৃদ্ধ বয়সে আমাকে ফাইল নিয়ে আসতে হয়েছে। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার জুনিয়র তো অবশ্যই আসবে।
একপর্যায়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, উভয়পক্ষের যারা কেবল এনরোলড তারাই শুধু থাকবেন। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ২০ জন অথবা ৩০ জন করে থাকতে পারে।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, উভয়পক্ষের ৩০ জন করে থাকেন। এতে অ্যাটর্নি জেনারেল ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং জয়নুল আবেদীন একমত পোষণ করেন।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান জানান, সরকারি আইন কর্মকর্তাদের সব আদালতে প্রবেশে সুযোগ রয়েছে। এ কারণে তাদের বাধা দেয়া হয়নি।
সকাল আটটা ২০ মিনিটে আইনজীবীরা আদালত কক্ষে প্রবেশ করা শুরু করে। এই জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে বসানো হয়েছে আটটি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
/এসএস

