ভারত থেকে জ্বালানি আনতে ৩০৬ কোটি টাকায় লাইন নির্মাণ

প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯

ভারত থেকে জ্বালানি তেল আনতে পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণে সে দেশ থেকে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি আমদানি করবে বাংলাদেশ। মাটির নিচ দিয়ে পাইপলাইন নির্মাণ করে এই তেল আমদানি করা হবে।

ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) নামে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ভারতের শিলিংয়ের নুমালিগড় রিফাইনারি (এনআরএল) থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপোতে এই পেট্রোলিয়াম আমদানি করা হবে বলে জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম পণ্যের বার্ষিক চাহিদা হলো প্রায় ৫৯ লাখ মেট্রিক টন।

বতর্মানে দেশে বিদ্যমান গ্যাসসঙ্কটের কারণে পেট্রোলিয়াম পণ্যের চাহিদা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালের পর দেশের পুরাতন বিভিন্ন ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন কমতে থাকবে।

দেশে আর কোনো নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত না হলে পেট্রোলিয়াম পণ্যের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ঢাকা এবং তার আশপাশের এলাকায় জ্বালানি তেলের বতর্মান চাহিদা প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন। যা ঢাকায় অবস্থিত গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোগুলোর মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

চাঁদপুরে অবস্থিত তেল বিপণন কোম্পানিগুলোর তিনটি ডিপোতে জ্বালানি তেলের বর্তমান চাহিদা প্রায় ১ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। চট্টগ্রামের প্রধান স্থাপনা থেকে কোস্টাল ট্যাংকারে করে বর্তমানে গোদনাইল, ফতুল্লা ও চাঁদপুরে জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়।

বর্তমানে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, কৃষি, ও শিল্প খাতে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উন্নয়নকাজে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প খাতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি শিল্প কারখানাও স্থাপিত হচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি তেলের বার্ষিক চাহিদা ৫ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন।

প্রকল্পের ব্যয় বিভাজনে দেখা যায়, বিদেশ প্রশিক্ষণ দু’শ্রেণীতে মোট ২৭ জনকে দেয়ার জন্য ২ কোটি ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু ডিপিপিতে দেখা যায়, বি গ্রেডে ২১ দিনে ৫ জনের জন্য ৯১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ফলে এখানে জনপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ১৩ লাখ টাকা।

আর সি গ্রেডে একই সময়ের জন্য ১০ জনের বরাদ্দ ৯১ লাখ টাকা। ফলে এখানে ব্যয় হচ্ছে জনপ্রতি ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর হোটেল ভাড়া ৫ জনের জন্য ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এখানে জনপ্রতি ব্যয় ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর ১০ জনের জন্য ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এখানে জনপ্রতি ব্যয় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

আই.এ/

মন্তব্য করুন