
চলচিত্রের গল্প যেন জীবনভিত্তিক হয় সে আহ্বান রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা সাহিত্য, সংস্কৃতি আমাদের সম্পদ। বঙ্গবন্ধু এটা উপলব্দি করতে পেরেছেন। তিনি বলতেন, আমাদের নিজস্ব ভাষা আছে, সংস্কৃতি আছে।এটা তুলে ধরতে হবে হবে। এটাকে সমুন্নত করতে হবে। এজন্য তিনি এফডিসি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আজ রোববার বিকেল পৌনে চারটায় ‘জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার ২০১৭-১৮’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫৬ সালে জাতির জনক যখন মন্ত্রী হয়েছিলেন, তখনেই তিনি বলেছেন, বাঙালিরা কেন চলচিত্র তৈরি করতে হবে না। তিনি ‘পূর্ব পাকিস্তান চলচিত্র উন্নয়ন সংস্থা বিল ২০৫৭’ সংসদে উপস্থাপন করে সংসদে পাশ করেন। তখন থেকেই বাংলার মাটিতে বাঙিালিদের দ্বারা সিনেমা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। এবং স্বাধীনতার পরও তিনি এ শিল্পের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেন।
জেলা পর্যায়ের সিনেমা হলগুলো ডিজিটালাইজড করতে হবে উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি একবার হল মালিকদের সাথে বসেছিলাম। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। জীবনমানও উন্নত হয়েছে। এখন বিনোদনের ক্ষেত্রগুলো উন্নত করতে হবে। এজন্য জেলা পর্যায়ের হলগুলোকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটালািইজড করতে হবে।
গত ৭ নভেম্বর একসঙ্গে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের সিনেমার জন্য চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ ঘোষণা করা হয়। গত দুই বছরের ২৮টি শাখায় ৬৩ জন পুরস্কৃত হচ্ছেন। ২০১৭ সালের জন্য আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনয়শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা। আর ২০১৮ সালের জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র ও এমএ আলমগীর।
এসময় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ খন্দর, চলচিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, শাকিব খান, ফেরদৌস আহমেদ, জায়েদ খান, সাদেক বাচ্চু, সূচরিতা, পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, সাইমন সাদিক, সুবর্ণা মুস্তাফা, বদরুল আনাম সৌদসহ চলচিত্র শিল্পের কলাকুশলী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
/এসএস

