
রাজধানীর বাজার ও পাড়া-মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে পাতাসহ পেঁয়াজ। কোথাও কোথাও অপরিপক্ব পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে।
পেঁয়াজের দুর্মূল্যের বাজারে বেশি লাভের আশায় পুষ্ট হওয়া আগে কিংবা অসময়ে জমি থেকে পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি করছেন কৃষকরা। কোথাও আবার খেত থেকে পেঁয়াজ চুরি হচ্ছে। এই ভয়ে অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুলে নিশ্চিত হচ্ছেন কৃষক। তবে অনেক কৃষক পেঁয়াজ চুরি হওয়া ঠেকাতে পাহারা দিচ্ছেন জমি। তারা পেঁয়াজ পুষ্ট করে তবে জমি থেকে তুলবেন।
পুষ্ট হওয়া আগেই জমি থেকে তুলে নেওয়ার কারণে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বড় ঘাটতির আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন মহল। উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
সরকারি সংস্থার তথ্যমতে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। প্রতি মাসে গড় চাহিদা দুই লাখ টন। দৈনিক চাহিদা সাত হাজার টনের কিছু কম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৬ লাখ ১৯ হাজার টন। এই উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ৩০ ভাগ নষ্ট হয়। ফলে বছরে ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদার বিপরীতে ৮ থেকে ৯ লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।
এবারের দুর্মূল্যের বাজারে যেভাবে অপুষ্ট পেঁয়াজ তোলা হচ্ছে তাতে ঘাটতির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন নীতিনির্ধারকরা।
আই.এ/

