
ইসমাঈল আযহার: পোশাকরে উদ্দেশ্য হচ্ছে সৌন্দর্য্য, সাজ-সজ্জা ও আবহাওয়ার খারাপ প্রতিক্রিয়া থেকে শরীর রক্ষার মাধ্যম। মূল উদ্দেশ্য হলো লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করা। আল্লাহ তায়ালা লজ্জা-শরমকে মানুষের মধ্যে স্বভাবগত ভাবে সৃষ্টি করেছেন। হযরত আদম ও হাওয়া আ. থেকে যখন বেহেশতের গৌরবময় পোশাক নিয়ে নেওয়া হলো তখন তারা গাছের পাতা দিয়ে লজ্জা নিবারণ করেছিলেন।
আমাদের এমন পোশাক পরিধান করা উচিত যাতে লজ্জা নিবারণের মূল উদ্দেশ্য হাসিল হয়। সঙ্গে সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, পোশাক যেনো ঋতুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচার জন্য উপযোগী হয় আর যে পোশাক পরিধান করলে মানুষ অদ্ভুত অথবা খেলার পাত্রে পরিণত হয় এবং লোকদের জন্য হাসি ও পরিহাসের পাত্র হয়ে দাঁড়ায় সেই পোশাক থেকে বিরত থাকা উচিত। আজ পাবলিক ভয়েসের পাঠকদের জন্য পোশাক এবং নতুন পোশাক পরিধানের দোয়া উল্লেখ করা গেলো।
যে কোন কাপড় পরিধান করার সময় বিসমিল্লাহ পড়বে। কাপড় পরিধান করার সময় বিসমিল্লাহ এর পর এই দোয়া পড়বে-اَللّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ مِنْ خَيْرِه وَخَيْرِمَا هُوَ لَه وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّه وَشَرِّمَا هُوَ لَه। উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরীহি ওয়া খাইরি মা হুয়া লাহু ওয়া আউযুবিকা মিন শাররীহা ওয়া শাররীমা হুয়া লাহু।’
কোন নতুন কাপড় পরিধান করলে তখন উক্ত কাপড়ের নাম যেমন পাগড়ি, জামা ইত্যাদি উল্লেখ করে এই দোয়া পড়বে- اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذَيْ كَسَانِيْ مَا اُوَارِيْ بَه عَوْرَتِيْ وَ اَتَجَمَّلُ بَه فِيْ حَيَاتِيْ। উচ্চারণ: ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি কাসানী মা উয়ারী বিহি আওরাতী, ওয়া আতাজাম্মালু বিহি ফি হায়াতী।’
অথবা এই দোয়াটি পড়বে- اَللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ, اَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ, اَسْئَلُكَ خَيْرَهُ وَخَيْرَ مَا صُنِعَ لَهُ, وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّمَا صُنِعَ لَهُ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু, আনতা কাসাওতানীহি, আসআলুকা খাইরাহু ওয়া খাইরা মা সুনিয়া লাহু, ওয়া আউযু বিকা মিন শাররিহী ওয়া শাররি মা সুনিয়া লাহু।’ যখন কাপড় খুলিবে তখন ‘বিসমিলস্নাহ’ বলবে।
লেখক, তরুণ আলেম ও সাংবাদিক
আই.এ/পাবলিক ভয়েস
		
