
আকরাম হোসেন নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইলের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা এ,এফ,এম আজিজুল ইসলাম পিকুল। তার সাহসী নেতৃত্ব, ত্যাগ ও আত্মত্যাগের কারণে তিনি হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষের ভরসার প্রতীক। আন্দোলন ও সংগ্রামের পথে তিনি বারবার নির্যাতিত হয়েছেন, তবুও দমে যাননি।আজিজুল ইসলাম পিকুল অল্প বয়সেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি ধারাবাহিকভাবে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক ছাত্র নেতা ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি-
পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক-
পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি-
পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-
ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির সদস্য-
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ও জননন্দিত সফল মেয়র হিসেবে নান্দাইল পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেছেন। ১ জুলাই ২০১১ ইং থেকে ২৪ মার্চ ২০১৬ ইং পর্যন্ত।রাজনৈতিক জীবনে তিনি নান্দাইলে যেমন সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, তেমনি মানবিক বিবেচনায় ব্যক্তি জীবনে তিনি সবচেয়ে জননন্দিত। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ-১। বিগত স্বৈরাচার সরকার তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করেছে ৫৩টি মামলা।
২। আন্দোলনের সময় অবৈধ ভাবে গ্রেপ্তার করে ৪ দফা রিমান্ডে নিয়ে তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়, যার ফলে তার মেরুদণ্ড গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।৩। ২০২৪ সালের ২৮শে অক্টোবর আন্দোলন চলা কালিন মিছিলে গুলি করে তার পায়ে আঘাত করা হয়, যা তার আজীবন শারীরিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।৪। বিভিন্ন সময় তার অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলার খরচ তিনি নিজে বহন করেছেন। ৫। আন্দোলনের পাশাপাশি এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে তিনি নিয়মিত সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। যা এখন পর্যন্ত চলমান।৬। নান্দাইল পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন তিনি পুরো পৌর কর নিজ অর্থায়নে পরিশোধ করেছেন। যার ফলে পৌরবাসীর কাছ থেকে কোনো কর আদায় করা হয়নি।৭। পৌর এলাকায় চলাচলরত অটোরিকশার ট্যাক্স নিজ অর্থায়নে পরিশোধ করেছেন, যাতে শ্রমজীবী মানুষ কষ্টে না পড়ে, পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ভালো ভাবে দিনাতিপাত করতে পারে।৮। মেয়র থাকাকালীন সময় নিজ অর্থায়নে সকল সুযোগ-সুবিধা বহন করেছেন, (সরকার প্রদত্ত সম্মানী ভাতা টুকুও উত্তোলন করেননি) সরকারি বরাদ্দের বাইরে গিয়ে উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিয়েছেন।
৯। এ সময় তিনি পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি ঈদগাহ মাঠ, মসজিদ, মাদ্রাসায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে অনুদান দিয়েছেন।১০। সমাজের অসহায় পরিবার, বিশেষ করে যারা অর্থের অভাবে কন্যার বিয়ে দিতে পারছিল না, তাদের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
১১। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৫ জুন নিজ অর্থায়নে ৩.৫ কিলোমিটার একটি সড়ক নির্মাণ করেন, যা দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ লাঘব করেছে। বহুদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে এ সড়ক নির্মাণে।এএফএম আজিজুল ইসলাম পিকুল সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, “পিকুল ভাই শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, তিনি আমাদের অভিভাবক। তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন।” “স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আমরা যখন ভয় ও আতঙ্কে ছিলাম, তখন তিনিই ছিলেন আমাদের সাহসের প্রতীক।” “মেয়র থাকাকালীন সময়ে তিনি আমাদের কাছ থেকে কোনো কর নেননি, বরং নিজ অর্থায়নে তা পরিশোধ করেছেন। এমন দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে বিরল।এএফএম আজিজুল ইসলাম পিকুলের নির্যাতিত রাজনৈতিক জীবন, মানবিক কর্মকাণ্ড ও উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গি আজ নান্দাইলের মানুষের মুখে মুখে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এই কর্ণধারকে তাই এলাকাবাসী শুধু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, বরং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক, মানবতার ত্রাণকর্তা ও জনসেবার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

