পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি দিল জামাত- ইসলামী আন্দোলনসহ ৮ দল 

প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২৫

আনোয়ার হুসাইন (স্টাফ রিপোর্টার) 

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, সংশোধিত আরপিও বহাল রাখা ও পৃথক গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত

৫ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের আটটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অবিলম্বে জারি করতে হবে, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি নিশ্চিত করতে পৃথক গণভোট আয়োজন করতে হবে এবং সংশোধিত ও উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত আরপিওতে আর কোন ধরণের সংশোধন, পরিমার্জন বা পরিবর্তন করা যাবে না। একই সাথে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আজ ৩ নভেম্বর, সোমবার সকাল এগারোটা থেকে বাংলাদেশে খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ৫ দফা দাবিসহ অগ্রাধিকার প্রাপ্তমূলক দাবী আদায়ে আগামী ৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০ টায় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর গণমিছিলসহকারে স্বারকলিপি প্রদান করা হবে। এবং দাবীর বিষয়ে সন্তোষজনক কোন অগ্রগতি না হলে আগামী ১১ নভেম্বর, বুধবার ঢাকায় গণসমাবেশের কর্মসূচি পালন করা হবে।

যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডাক্তার আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহের।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জুলাই সনদের আইনীভিত্তি হলো প্রধান বিষয়। এটা না হলে এই সরকার, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সবকিছুই আইনী প্রশ্নের মুখে পড়বে। ৫ আগষ্টের পরে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়ে সরকার গঠিত হয়েছিলো। সেই লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন হয়েছে, ঐকমত্য কমিশন হয়েছে। গণভোটের বিষয়ে সবাই একমতও হয়েছে। এখন গণভোটের দিনক্ষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে তা দুঃখজনক। এই ক্ষেত্রে বিএনপির আচরনের কোন অর্থ আমি বুঝি না।

পীর সাহেব চরমোনাই উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারো একত্রে বসে চলমান বিভেদ দুর করে শান্তিপূর্ণ অবস্থা তৈরির আহবান জানান।

যৌথ প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লাহ আবু তাহের, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুবুল হক ও মাওলানা কুরবান আলী কাসেমী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব মো. কাজী নিজামুল হক নাঈম।

মন্তব্য করুন