

মুন্সীগঞ্জে ওসির ওপর হামলার জেরে মধুপুর পীরের দুই ছেলেসহ ৫১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার উপ-পরিদর্শক রিমন হোসাইন এই মামলাটি দায়ের করেছেন সিরাজদিখান থানায়।
২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের দিন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় পুলিশের ওসি এস এম জালাল উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় হেফাজতের নায়েবে আমির ও মধুপুর পীর মাওলানা আব্দুল হামিদের দুই ছেলে ওবায়দুল্লাহ কাশেমী (৪০) ও আব্দুল্লাহসহ (৩৫) ১৫ নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সরকারি কাজে বাধা, জখম ও অগ্নিসংযোগ করার অপরাধে বিশেষ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
সিরাজদিখান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: কামরুজ্জমান জানান, ঘটনার দিন রাতে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের এই মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে রাজানগরে নির্বিচারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঘরবাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ব্যাপারে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: কামরুজ্জমান জানান, এসব ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই মামলা দায়ের করা হবে।
উলেখ্য, গত রোববার (২৮) মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের দিন বড় উপজেলার বড় শিকারপুর এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় হেফাজত। এ সময় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি এস এম জালাল উদ্দিন দায়িত্ব পালনকালে তার ওপরও হামলা করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ সময় তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। ঘটনার পর মাথায় ৩১টি সেলাই নিয়ে তিনি এখনো চিকিৎসাধীন আছেন।
সিরাজদিখান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: কামরুজ্জমান জানান, গ্রেফতার অভিযান চলছে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। ওসি এস এম জালাল উদ্দিন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভালো আছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র:নয়া দিগন্ত