এমসি কলেজে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০

সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণী গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ ও ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে আজ রোববার ভোরে সাইফুর রহমানকে এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকা থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বিলাল হোসেন সাইফুরের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন।

সাইফুরকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এএসপি বিলাল হোসেন জানান, গ্রেপ্তার সাইফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাও রয়েছে।

এদিকে,  এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম ও তারেক আহমেদকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় দিরাই ও জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। তারেকের গ্রামের বাড়ি জগ্ননাথপুর উপজেলা ও রবিউলের গ্রামের বাড়ি দিরাই উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ জানান, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় রবিউলের নিজ গ্রামসহ পুরো উপজেলায় ক্ষুব্ধ মানুষ ধর্ষকদের ঘৃণা জানাচ্ছে। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, রবিউলকে গ্রেফতার করতে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এজন্য শনিবার বিকেলে পুলিশ গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইখতিয়ারউদ্দিন চৌধুরী জানান, আলোচিত মামলার আসামি গ্রেফতার পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে এসেছিলেন ওই তরুণী। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা। রাত ১১টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এনএইচ/

মন্তব্য করুন