
মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুবার ভোটার হয়ে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মমিন মিয়া।
এর আগে, দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার সাবরিনার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুটিতেই তার নাম সাবরিনা শারমিন হোসেন। তবে ঠিকানা ও জন্ম তারিখ ভিন্ন। বিষয়টি দুদকের পক্ষ থেকে ইসিকে জানানো হয়।
মামলার এজাহারে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র রাখা ও দ্বৈত ভোটার হওয়ায় সাবরিনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।সাবরিনা ২০০৯ ও ২০১৬ সালে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র করেন। ২০০৯ সালে তিনি সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে পরিচয়পত্র করান। জন্মতারিখ ও সাল দেন ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। ২০১৬ সালে সাবরিনা শারমিন হুসেন নামে পরিচয়পত্র করেন। জন্মতারিখ ও সাল দেন ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩।
২০০৯ সালের পরিচয়পত্রে সাবরিনা তাঁর স্বামীর নাম আর এইচ হক ও ২০১৬ সালে আরিফুল চৌধুরী উল্লেখ করেন।২০০৯ এ ঠিকানা হিসেবে মোহাম্মদপুর ও ২০১৬ সালে গুলশান উল্লেখ করেন সাবরিনা। দু্ই পরিচয়পত্রে মাতা ও পিতার নামও আলাদা আলাদা উল্লেখ করা হয়।
গুলশান থানার দয়িত্বরত কর্মকর্তা মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনের ১৪ এবং ১৫ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অনুযায়ী কেউ যদি দুই জায়গায় ভোটার হয় তাহলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা যায়।
গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনের ১৪ এবং ১৫৪ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অনুযায়ী কেউ যদি দুই জায়গায় ভোটার হয় তাহলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা যায় । সূত্র : প্রথম আলো
এনএইচ/

