

করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ১৩৯ জনের মৃত্যু হলো।
এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও দুই হাজার ৮৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৭ হাজার ৮২৮ জন।
- আজ সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হিসেবে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দিনের চেয়ে তুলনামূলক কম। অর্থাৎ যে পরিমাণে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং অন্যান্য দিন যা যমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং যে আক্রান্ত এবং মৃত্যু পাওয়া যায় সে তুলনায় আজকে আক্রান্ত ও মৃত্যু কম।
আজ শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি মোট ৫৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৬ হাজার ৬৩৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো চার লাখ ৮৯ হাজার ৯৬০টি।।
গত শুক্রবারের (১২ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জন মারা গেছেন। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৪৭১ জনের মধ্যে। যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত- উভয় সংখ্যাই কমেছে।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের ৭৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৯২ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ২১৮ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৩ হাজার ৮৮৬ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
#আরআর/পাবলিক ভয়েস