
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার দেশে এসেছেন। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে থাকা ১১২ বাংলাদেশিকে নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের দ্বিতীয় বিশেষ বিমান রোববার বিকাল পৌনে ৫টায় ঢাকায় পৌঁছায়। ও ফ্লাইটে দেশে এসেছেন তিনি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে আসার পর ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে ঢাকার ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে তার করোনা শনাক্তের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়। এর ফলাফল পজিটিভ এসেছিল। এখন তার করোনা নেই। তবে যেহেতু তিনি বিদেশ থেকে এসেছেন, তাই নিয়মানুযায়ী তাকে ১৪ দিনের জন্য ব্র্যাক সেন্টারের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার চিকিৎসা দিয়ে ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছেন তিনি। সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। ফলে প্রবাসীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্যই বাংলাদেশে আসা তার।
তবে ইতোমধ্যে তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন এবং তারেক রহমানের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। আবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকারের মোশতাকের ভাগনে তিনি। এ ছাড়া আরো কিছু কথা তার নামে ছড়িয়ে পড়েছে।
অবশ্য বাংলাদেশে পৌঁছার পর এসবের জবাবও দিয়েছেন তিনি। নিজের ফেসবুকে এ নিয়ে একাধিক স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। সেখানে তিনি এসব তথ্যকে মিথ্যা অভিহিত করে তা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, যদি মনে করেন আমার সেবা আপনাদের দরকার, তাহলে পাশে থাকুন। আর যদি মনে করেন আমার দরকার নেই তাহলে প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাব।
ফেসবুক স্ট্যাটাস:
এমএম/পাবলিকভয়েস

