
মহামারী করোনাভাইরাসে আজ বুধবার (৩ জুন) দেশে আবারো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে ২৬৯৫জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হলো ৭৪৬ জনের এবং আক্রান্ত হলো ৫৫ হাজার ১৪০জন।
মৃতদের মধ্যে ২৮জন পুরুষ এবং ৯জন নারী। এরমধ্যে হাসপাতালে মারা গেছে ৩১জন, বাসায় মারা গেছে ৫জন এবং ১জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
- এছাড়াও এদিন সুস্থ হয়েছেন ৪৭০জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হলো ১১৫৯০জন।
আজ বুধবার (৩ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন, আইইডিসিআর এর মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫১০৩টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৫১০টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৪৫হাজার ৫৮৩টি।
এছাড়াও এদিন আইসোলেশনে গেছে ৩৯৫জন, ছাড় পেয়েছে ১৩৭জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে গেছে ৬৪৯৮জন এবং মোট ছাড় পেয়েছে ৩৫৪৪জন।
এদিকে আজ ৫টি ল্যাবের তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেণ ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং জামালপুর এসকে হাসপাতালের পরীক্ষার মেশিনে সাময়িক ত্রুটির কারণে আজ দুটি ল্যাবের তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি।
উল্লেখ্য, বুধবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু রেকর্ড ছিলো ২২জন। পরেরদিন বৃহস্পতিবার রেকর্ড সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়। এরপর গত শুক্রবার ফের নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের সর্বোচ্চ রেকর্ড হলো। সেটা ভেঙে শনিবার হয় সর্বোচ্চ ২৮জনের মৃত্যুর নতুন সর্বোচ্চ রেকর্ড। সব ছাপিয়ে গত রোববার স্মরণকালের নতুন সর্বোচ্চ ২৮জনের মৃত্যু ২৫৪৫জন শনাক্তের রেকর্ড হয় দেশে।
প্রসঙ্গ : বাংলাদেশে গত ৮ ই মার্চ করোনাভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে। এরপর হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা এই মূহুর্তে পৌনে চার লাখ পার হয়েছে। প্রতিমূহুর্ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আজ ৩ জুন দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮২ হাজারেরও বেশি। এরমধ্যে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই প্রায় ১ লাখ ৮ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
বাংলাদেশেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বিশেষ করে পরীক্ষা যতো বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। বাড়ছে ঝুঁকি। এরইমধ্যে উঠে গেছে লকডাউন। স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে বারবার সতর্কবার্তা এবং নাগরিকদের সচেতনতার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
/এসএস

