
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। এর মধ্যেই পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের চরম মূল্য দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এখনো লকডাউনের যথাযথ প্রয়োগ এবং মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কারখানা চালু করায় এর চরম মূল্য দিতে হবে।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর করোনাভাইরাসের হটস্পট উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই তিন জেলাতেই সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আর বেশিরভাগ কারখানা এখানেই অবস্থিত। এখন শ্রমিকদের যদি কারখানায় কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে ভাইরাসটির সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করবে। একজন আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে বাকি সবাই সংক্রমিত হবে।
অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে অনেক করোনা রোগীর মধ্যে কোনো উপসর্গ প্রকাশ পাচ্ছে না। তাছাড়া অসংখ্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মাস্ক ও পিপিই পরিধান করার পরও করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। এমন অবস্থায় কারখানা খুলে দিয়ে আরো বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে।
এদিকে কারখানা খোলার পর শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে ভাইরাসটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় শ্রমিকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে দ্বিতীয় দফায় বড় ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কর্মক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।বাংলা নিউজ পেপার ২৪।
এমএম/পাবলিকভয়েস

