ভারতে করোনার চিকিৎসায় রক্ত দেবেন তাবলিগ সদস্যরা

প্রকাশিত: ১:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২০

ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ঝজ্ঝর এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১২৯ জন তাবলীগ জামাতের সদস্য ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। তারা এবার সংক্রমিত অন্য রোগীদের চিকিৎসায় নিজেদের রক্তের প্লাজমা দান করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন।

হাসপাতালটির করোনা পরিষেবা বিভাগের চেয়ারপার্সন ডা. সুষমা ভাটনগরের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস। সেখানে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হওয়া বেশ কয়েকজন রোগীকে রক্ত দানের প্রস্তাব দেয়া হলে তারা মুহূর্তেই রাজি হয়ে যান। এখন তাদের রক্ত সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, তাবলিগ জামায়াতে অংশগ্রহণকারী যেসব সদস্য করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং এখন পুনরায় পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছেন; তারাই এগিয়ে এসেছেন কোভিড-১৯ রোগীদের প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসায়। নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে তারা এবার করোনা রোগীদের প্রাণ বাঁচাবেন।

ডা. সুষমা ভাটনগর বলেন, হাসপাতালের কেয়ারেন্টাইনে থাকা বেশিরভাগ তাবলীগ জামাতের সদস্য দিল্লির বাইরে থাকেন। অনেকে আবার বিদেশি। যারা সুস্থ হয়েছেন, লকডাউনের কারণে তারা এই মুহূর্তে বাড়িতেও ফিরতে পারছেন না। তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাদের রক্ত সংগ্রহ এবং বাসস্থানের ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

চিকিৎসকরা দাবি করছেন, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীর থেকে রক্তের প্লাজমা সংগ্রহ করে অন্য রোগীর দেহে প্রবেশ করালে সেই রোগীও সুস্থ হয়ে উঠছেন। ইতোমধ্যে দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালের ৪ জন এবং ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বাইলিয়ারি সায়েন্সেস হাসপাতালের ২ জন রোগীকে এই পদ্ধতিতে সুস্থ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে করোনামুক্ত রোগীর রক্ত থেকে সংগৃহীত প্লাজমা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়। টানা এক সপ্তাহ ভেন্টিলেশনে থাকার পর প্লাজমা থেরাপি নামের এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। রক্ত প্রয়োগের তিন দিনের মাথায় ভেন্টিলেশন থেকে ছাড়া পান রোগী। এরপর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজনের শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করে তা থেকে দুই জন করোনা রোগীকে সুস্থ করে তোলা যায়। এর আগে সার্স ভাইরাস সংক্রমণের সময়ও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে রোগীদের সুস্থ করা হয়েছিল।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন