
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বহুল প্রত্যাশিত করোনাভাইরাস শনাক্ত করণ কীট উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। দীর্ঘ সপ্তাহ পর কীট উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল আমদানি করতে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে অনুমতি দিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অনুমোদন পাওয়ার পর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কীট উৎপাদন (স্যাম্পল) করে সরকারের কাছে নমুনা দেয়া যাবে। সরকার চাইলে যাচাই-বাছাই করে ১ মাসের মধ্যে বাজারে ছাড়তে পারবে।
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বছর দুয়েক আগে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগদান করেন। এর আগে তিনি সিঙ্গাপুরে ছিলেন। সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন তিনি ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের কীট উদ্ভাবন করেন।
সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। র্যাপিড ডট ব্লট’ পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবেলা করে।
চিনে করোনাভাইরাস উৎপত্তির পর গত ডিসেম্বরেই তিনি করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছিলেন এটা নিয়ে গবেষণা করা দরকার। এরপর সম্প্রতি তিনি এই ভাইরাসের কীট উদ্ভাবনের কথা ঘোষণা করেন। এরপরই গত এক সপ্তাহ আগে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র স্বাস্থ্য দপ্তরে করোন কীট উৎপাদনে যেতে অনুমোদনের আবেদন জানায়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা মাত্র কাঁচামাল আমদানি করার অনুমোদন পেয়েছি। আমরা প্রায় সাত দিন ধরে অনুমতির অপেক্ষায় ছিলাম। ভালো খবর যে আমরা অনুমতি পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা স্যাম্পল তৈরি করে ১৫ দিনের মধ্যে সরকারকে দেব। সরকার যাচাই-বাছাই করে এক মাসের মধ্যে বাজারে ছাড়তে পারবে। আমাদের দাম পড়বে ২০০-২৫০ টাকা। সরকারের দাম পড়বে ৩০০-৩৫০ টাকা। আমরা চাইব এই কিট ৩৫০ টাকার বেশি দাম যেন কোনোভাবেই না হয়।
/এসএস/শাহনূরশাহীন/

