
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিদেশ ফেরত ব্যক্তি ও তার পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনদের মসজিদ, মন্দিরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি যাদের জ্বর, সর্দি-কাশি আছে তাদেরও এ নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে এইসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সচিবালয়ের কেবিনেট ডিভিশন থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের হয়ে যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণসহ প্রশাসনকে কঠোর ও তৎপর হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। আর যারা এ নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সময় বলা হয়, হোম কোয়ারেন্টাইন কঠোরভাবে মানতে হবে। নয়তো পুরো দেশের মানুষকে এর চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। তাই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা নেয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়।
তবে মসজিদ বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলা হয়, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি তাদের পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনরা যেন মসজিদ, মন্দির কিংবা অন্য কোনো জনসমাগম স্থলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এছাড়া গত তিন মাসে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। তারা কেউ অসুস্থ হয়েছিলেন কিনা, কিংবা কোনো উপসর্গ দেখা দিয়েছে কিনা, এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাদেরও মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে। খুব শিগগিরই তাদের তালিকা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
এমএম/পাবলিকভয়েস

