
স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার পর আক্ষেপের সুরে এস এম রইজ উদ্দিন বলেন, ‘পুরস্কার পাওয়ার পরে যেমন অবাক হয়েছিলাম ঠিক তেমনি পুরস্কার প্রত্যাহারের সংবাদেও অবাক হয়েছি। কেনইবা দিলো আর কেনইবা ফিরিয়ে নিলো। তিনি আরো বলেন, ‘আমার মানসম্মান বা ইজ্জত নিয়ে তো খেলার দরকার ছিল না। কারণ আমি তো কারো ক্ষতি করিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুনেছি সমালোচনার কারণে আমার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। সরকার কি এতই দুর্বল যে কারো সমালোচনায় সরকার টলে যাবে। আপনি সরকারের এ সিদ্ধান্তের ব্যাপার কোনো উদ্যোগ নিবেন কিনা?- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আমার শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।’
রইজ উদ্দীন আরো বলেন, ‘আমি নিভৃতচারী মানুষ, আমার জানাশোনা কম, আর আমি তো পদকের জন্য কোনো আবেদন করিনি। তবে কেনো এভাবে আমাকে অপদস্থ করা হলো?’ গতকাল স্বাধীনতা পদকের যে তালিকা প্রকাশ করা হয় সেখানে এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদের নাম ছিল না।
এবারের স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীতদের তালিকায় সাহিত্যে রইজ উদ্দিনের নাম থাকলেও তার নাম বাদ দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি নয় ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে এবারের স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করা হয়, যেখানে সাহিত্যে রইজ উদ্দিনের নাম ছিল। তার নাম প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সমালোচনা শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে— ‘কে এই রইজ উদ্দীন’?
এমএম/পাবলিকভয়েস

