
ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে তোলপাড়ে চলছে গোটা দেশ জুড়ে। সর্বশেষে এই তোলপাড়ে হাওয়া লাগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদির নাগরিকত্ব সনদ না থাকার খবার প্রকাশের পর।
এবার খবর বেরোলো হরিয়ানা রাজ্যের মুখমন্ত্রী বিজেপির নেতা মনোহরলাল খট্টর এবং রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যর নেই নাগরিকত্ব প্রমাণের কোনো কাগজ।

দ্বিতীয়বার মুখমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণকালে খট্টরে (বামে) সত্যদেব (ডানে)
তথ্য অধিকার আইনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের আলোকে (আরটিআই) সম্প্রতি জানা গেছে, নাগরিকত্বের কোনো কাগজপত্র নেই মোদির। ওই একই আইনে জানা গেছে, দেশটির হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির নেতা মনোহরলাল খট্টর ও রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যরও কোনো নাগরিক সনদ নেই। খবর এনডিটিভি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি শুভঙ্কর সরকার নামের এক ব্যক্তি আরটিআইয়ের মাধ্যমে জানতে চান, প্রধানমন্ত্রীর নাগরিকত্বের কাগজপত্র রয়েছে কি না। উত্তরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সচিব প্রবীণ কুমার স্বাক্ষরিত জবাবে জানানো হয়, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী জন্মসূত্রেই ভারতীয়। এ কারণে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব সনদ তাঁর রয়েছে কি না, সে প্রশ্নই ওঠে না।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এ জবাবকে ‘অস্পষ্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কুইন্ট।
এ–বিষয়ক প্রথম খবরটি প্রকাশ করে হায়দরাবাদের উর্দু দৈনিক সিয়াসত। সেখানে বলা হয়, প্রবীণ সাংবাদিক সিমি পাশা সংশ্লিষ্ট আরটিআই ও তার উত্তরের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন।
সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগরিকত্ব নিবন্ধনের প্রয়োজন না থাকে, তবে অন্যদের কেন থাকবে?
/এসএস

