
রহস্যময়ভাবে হারিয়ে গেছে তাদের পিতৃপুরুষের অস্তিত্ব। কোথা থেকে এসেছে বংশ তাও বুঝা যাচ্ছে না। এমনই এক জাতির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
যে জাতির মধ্যে এমন এক ডিএনএ লুকিয়ে রয়েছে, যে ডিএনএ কোথা থেকে এসেছে, তা ঘিরে রহস্য জমাট বাঁধছে। অনেকেই ভূত তত্ত্ব সামনে আনছেন। আর এই নিয়েই তোলপাড় পশ্চিম আফ্রিকায়। উঠে আসছে এক অবলুপ্ত হওয়া অস্তিত্বের কথা।
পশ্চিম আফ্রিকার ২ থেকে ১৯ শতাংশ এমন মানুষ পাওয়া গেছে, যাদের হাজার বছরের পূর্ব প্রজন্মের কোনো হদিস মিলছে না। এই জাতি কোথা থেকে এসেছে, তা নিয়ে বংশগত হিসাব মিলছে না গবেষণায়। এটিকেই ‘ঘোস্ট পপুলেশন’ এর তত্ত্ব দেওয়া হয়েছে।
গবেষণা বলছে ৪৩ হাজার বছর আগে আফ্রিকার একটি জাতির সঙ্গে এক রহস্যময় জাতির প্রতিনিধিদের সঙ্গমে বংশ এগিয়ে যেতে থাকে। তবে এই ‘রহস্যময় বংশ’টি কারা তার কোনো তথ্য পাচ্ছেন না গবেষকরা। শ্রীরাম শঙ্করারমনের নেতৃত্বাধীন এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে।
জেনেটিক গবেষণা বলছে, নিয়েনদারথল ও ডেনিসোভানদের থেকে আফ্রিকার বাইরে ইউরোশিয়ার বিশাল জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্ম হয়েছে। নিয়েনদারথল ও ডেনিসোভানদের বহু ফসিলও উদ্ধার হয়েছে।
কিন্তু পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়া ও বেনিনের ইয়োরুবা জনগোষ্ঠী ও মেন্ডে জনগোষ্ঠী ঘিরে একাধিক চাঞ্চল্যকর তত্ত্ব পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। এমন কিছু নুমনা এই জনগোষ্ঠীর ডিএনএ থেকে পাওয়া গেছে যে ‘মানব ইতিহাসের প্রাথমিক ‘ তত্ত্ব তা দ্বারা পাল্টে যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে রহস্যময়য় জাতির কথা ভাবা হচ্ছে, বা অস্তিত্বের কথা বলা হচ্ছে, তারা ৬৫০,০০০ বছর আগেই সম্ভবত অবলুপ্ত হয়েছে।
কিন্তু এই অবলুপ্তির কারণ কী? আদৌ কি তারা অবলুপ্ত? নাকি অভিব্যক্তির রাস্তায় হোমো সেপিয়েন্স একদিকে এগিয়ে গেছে, আর অন্যদিকে সেই রহস্যময় অস্তিত্ব এগিয়েছে? এখন প্রচুর প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে এগিয়ে চলেছে এই গবেষণা।
আই.এ/

