
জনগণের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করে পুলিশকে আরো জনবান্ধব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমনে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষনা তিনি। সকালে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ইতিহাসে এক স্মরনীয় নাম পুলিশ। সেই থেকে দেশের শান্তি ও শৃংক্ষলা রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।
মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে প্রতিবছরের মতো পুলিশ সপ্তাহের এই আয়োজন। আধুনিক ও সুসজ্জিত বাহিনীর এই মিলনমেলায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আনুষ্ঠানিকতার শুরুতেই খোলা জিপে চড়ে সারাদেশের পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
এরপর, পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ সুপার মো. ছালেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে কুচকাওয়াজে অংশ নেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যরা। এসময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য চার ক্যাটাগরিতে ১১৮ পুলিশ সদস্যকে পদক পড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে, পুলিশবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যে- সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মাদক ও দূর্নীতি দমনে সরকারের নীতির অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
জনমনে অমূলক ভীতি তৈরি না করে পুলিশকে জণগনের সেবক হিসেবে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন সরকার প্রধান। আগামী ১০ জানুয়ারি আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পুলিশ সপ্তাহের এই আয়োজন।
আই.এ/

