
মুজাহিদ সগীর আহমদ চৌধুরী
হযরত মাহদীর আগমনের জন্য অন্তত আরও ৭৬৩ বছর অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম নুআইম ইবনে হাম্মাদ আল-মারওয়াযী (মৃ. ২২৮ হি.) হযরত মাহদীর আগমনের যে সময় বর্ণনা করেছেন তা থেকে এটিই নিশ্চিত প্রমাণিত হয়। তিনি বর্ণনা করেন,
«اجْتِمَاعُ النَّاسِ عَلَى الْمَهْدِيِّ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَمِائَتَيْنِ».
অর্থাৎ “২ শত ৪ সালে মাহদীর সাথে মানুষ সমবেত হবে বা তাঁর হাতে বায়আত নেবে।” (আল-ফিতান, পৃ. ৩৩৪, হাদীস: ৯৬২)
এ হাদীস অনুযায়ী হযরত মাহদীর আগমনের বিগত সময়টি ছিল ১২০৩ হিজরী। ঠিক সেই সময়টিতে কেউ মাহদী হওয়ার দাবি করেনি, তারও আগে এই সময়টি ছিল হিজরী ২০৪ হিজরী। ঠিক এসব সময়ে কেউ মাহদী হওয়ার দাবি করেনি, যারা ইতঃপূর্বে মাহদী হওয়ার দাবি করেছে তারা ঠিক উপর্যুক্ত দুটো উপযুক্ত সময়ে করেনি, তার আগে বা পরে করেছে।
নিকট সময়ে মাহদীর একজন দাবিদার হচ্ছে, আহমদ আল-হাসান আল-ইয়ামানী, তার পূর্বে মাহদী দাবি করে কাবা শরীফ সশস্ত্র হামলা করে আলোচিত হয়েছিল মুহাম্মদ আল-কাহতানী (মৃ. ১৪০০ হিজরী), তার পূর্বে মাহদী দাবি করেছে কুখ্যাত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। হিন্দুস্তান থেকে মাহদী দাবিদার আরেকজন কুখ্যাত ব্যক্তির নাম হচ্ছে, সাইয়েদ মুহাম্মদ জৌনপুরী (মৃ. ৯১০ হিজরী)।
বস্তুত ২০৪ এ সাল-সংখ্যাটা আসল। সে হিসেবে আগামীতে হযরত মাহদীর আগমনের জন্য একেবারে কম করে হলেও ২২০৪ হিজরী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদি হিজরী ২ সহস্রাব্দের ২০৪ হিজরীতে হযরত মাহদীর আগমন না হয় তবে আরও এক হাজার বছর তো অপেক্ষা করতেই হবে।
এভাবে সহস্রাব্দের পর সহস্রাব্দ অপেক্ষা করে যেতে হবে। কাজেই এই সময়ের মধ্যে হযরত মাহদীর আগমনের কোনো সম্ভাবনা নেই। মাহদীর জন্ম, শৈশব পেরিয়ে এখন কৈশোরে পৌঁছা কিংবা যেকোনো মুহূর্তে মাহদীর আগমন ঘটতে পারে বলে যেসব খবর প্রচার করা হয় তার সবগুলোই ভিত্তিহীন। শতভাগ ভুয়ো।
লেখক: প্রাবন্ধিক, গবেষক ও আলেম
/এসএস

