

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: বিরোধপূন্য ভূমিতে হাইকোর্ট প্রদত্ত স্থিতাবস্থার আদেশ উপেক্ষা করে পটুয়াখালীতে প্রভাবশালী মো. মনিরুজ্জামান (মন্টু) চৌকিদারের বিরুদ্ধে পাকা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীমো. মঞ্জুর মোর্শ্বেদ মিঠুল সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকায় অ্যাড. সৈয়দ আ.খালেক এস এ ১৬৪৩ নং খতিয়ানের ৮০৩৯ দাগের টিনের ঘর মাও. আশরাফ আলীর জমি শরিক নয় এমন প্রতিপক্ষের কাছে ২৮/১০/১৯৯৯ সালে কবলা দলিল প্রদান করেন।
মরহুম অ্যাড. সৈয়দ আ.খালেক উক্ত দলিলের বিষয় জানতে পারলে পটুয়াখালী জজ ১ম আদালতে অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইনের ২৪ ধারা মতে ৪/২০০০ নং অগ্রক্রয়ের মামলা দায়ের করলে ২৪/০৩/২০০২ ইং তারিখ তার পক্ষে রায় পায়। এরপর ২০০৬ সালে অ্যাড. সৈয়দ আ.খালেক মারা যান। তার মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সুত্রে মো. মঞ্জুর মোর্শ্বেদ মিঠুল ওই জায়গা ভোগদখল করে আসছেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে মোসা. রাজিয়া বেগম, মো. বাবুল হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান (মন্টু) চৌকিদার একটি ছানী মামলা করে যা পরবর্তীতে খারিজ হয়ে যায় এবং তার মামলার বিরুদ্ধে একটি মিস আপলি মঞ্জুর হয়ে ছানী চালু হয়। পরবর্তী তা খারিজ হয়ে ৪০/৬ নং সিভিল রিভিউশনে মন্টু গংরা নিষেধাজ্ঞা চাইলে বিরোধপূন্য ভূমিতে হাইকোর্ট প্রদত্ত স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করে।
ভুক্তভোগী মঞ্জুর জানান, বিরোধপূন্য ভূমিতে হাইকোর্ট স্থিতাবস্থার আদেশ অমান্য করে প্রভাবশালী মো. মনিরুজ্জামান (মন্টু) চৌকিদার পাকা ভবন নির্মাণ করছে। আমি নিষেধ করলে সে আমাকে প্রাণনাষের হুমকি দেয়। আমি সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়েে অভিযুক্ত মন্টু চৌকিদার জানান, আমি হাইকোর্টের কোনো রায় অমান্য করিনি। কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় আমি পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছি।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা ভবন নির্মাণ করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করিয়েছি।
/এসএস