ছাত্ররাজনীতি বন্ধের আগে শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করুন: ড. মাইমুল আহসান

প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৯

‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাইমুল আহসান খান।

আজ সোমবার রাজধানীর ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ‘চিন্তাঙ্গন’ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামীলীগ এখন নিজেদের নিয়েই শঙ্কিত; বিধায় তারা এখন সবার মধ্যেই অনুপ্রবেশকারী খুঁজছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, মেননরা কালো টাকার ভাগ না পেয়ে নিজেদের দুর্নীতির কালো খতিয়ান প্রকাশ করে দিচ্ছে।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনে বিস্তৃত চিন্তার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ ‘চিন্তাঙ্গন’ এর উদ্যোগে ‘দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষায় ছাত্রসমাজের ভূমিকা: শহীদ আবরার থেকে আমাদের শিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এত বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তেব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করীম।

ক্যাম্পাসগুলোতে র‌্যাগিংয়ের সমালোচনা করতে গিয়ে অধ্যাপক খান বলেন, আমি ঢাবির শিক্ষক হয়েও বিগত ২০ বছর যাবৎ র‌্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছি। সাম্প্রতিক সময়ে যথেচ্ছা গুলির অর্ডার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা বছর বছর ধরে ক্যাম্পাসে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়, তারা পরবর্তীতে চাকুরীপ্রাপ্ত হয়ে কোনো ধরনের মায়া-মমতা তার আর অবশিষ্ট থাকে না।

চিন্তাঙ্গন পরিচালক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল-এর সভাপতিত্বে ও ঢাবি চিন্তাঙ্গন সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাইমুল আহসান খান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক গৌতম দাস।

উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট আলেম, প্রখ্যাত ওয়ায়েজ, লেখক ও সম্পাদক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ, চিন্তাঙ্গনের প্রধান উপদেষ্টা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, চিন্তাঙ্গনের সাবেক পরিচালক নুরুল করীম আকরাম, মাসিক নকীবের সাবেক সম্পাদক এম. হাছিবুল ইসলাম প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, ‘আজ শিক্ষার নামে কু-শিক্ষা চলছে। যার ফলে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেও শিক্ষারর্থীদের মাঝে কোনো নৈতিকতা নেই। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রয়োজন আদর্শিক ছাত্র রাজনীতির চর্চা’।

বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক, প্রাক্তন বুয়েটিয়ান গৌতম দাস বলেন, ‘এতদিন পরে এসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রশ্ন আসার কথা নয়। ঢাবিতে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, কোন প্রশ্নে একটি সংগঠনকে ধর্মভিত্তিক সংগঠন বলা হবে? তা আগে নির্ধারণ করুন, তারপর এসব কথা বলার দুঃসাহস করুন’।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন, চিন্তাঙ্গনের অন্যতম সদস্য একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, কে এম শরীয়াতুল্লাহ, ইউসুফ আহমাদ মানসুর, গাজী মুহাম্মাদ উসমান গনী, এম.এম. শোয়াইব, সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, এম.এ হাসিব গোলদার, মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন প্রমুখ।

/এসএস

মন্তব্য করুন