
এখন থেকে কনের ক্ষেত্রে কাবিননামায় উল্লিখিত ৫ নম্বর কলামে কুমারী শব্দ লেখা যাবে না মর্মে নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দারের ও বিচারপতি খিজির আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অন্যদিকে রেজিস্ট্রি ফরমে একটি কলাম যুক্ত করে বরের ক্ষেত্রে অবিবাহিত/বিপত্নীক/তালাকপ্রাপ্ত শব্দগুলো যুক্ত করা যাবে বলে রায়ে উল্লেখ্য করা হয়।
এর আগে গত ১৬ জুলাই শরয়ী ব্যাখ্যা জানতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবকে হাইকোর্টে ডাকা হয়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়ে লেখার ব্যাখ্যা জানার জন্য খতিবকে যেতে বলেছেন হাইকোর্ট।
২০১৪ সালে কাবিন নামায় কনে ‘কুমারী’ কিনা এমন জিজ্ঞাসার বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে ব্লাস্ট, নারী পক্ষ ও মহিলা পরিষদ। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরই আদালত রুল দেন। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ আজ রায় দেওয়া হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনুন নাহার সিদ্দিকা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
/এসএস

