রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হচ্ছে না আজ

প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০১৯

বাংলাদেশ আজ বৃহস্পতিবার আবারও প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এ অবস্থায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের কর্মতারা। প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য বিকাল চারটা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টার সময় সাংবাদিকদের বলেন, আজ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হচ্ছে না। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের নিতে কেউ আসেনি। আমরা তাদের জোর করে ফেরত পাঠাচ্ছি না। তবুও আমরা বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব।

এদিকে প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাক্ষাৎকার ও মতামত গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেখতে ঢাকায় মিয়ানমার ও চীন দূতাবাসের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ভারতও।

তবে জানা গেছে, সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী এক হাজার ৩৮টি পরিবারের তিন হাজার ৩৯৯ জন রোহিঙ্গার সম্মতি যাচাইয়ের জন্য গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। সেই যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর গত দুই দিনে বেশির ভাগই বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহী হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। যদিও সরকারি সূত্রগুলো বলছে, তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান শুরু করে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। পুরনোসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শিবিরে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তবে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

জাতিগত নিধন ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন