
প্রভাবশালীদের দাপটে ক্রমেই হাটগুলো নির্ধারিত এলাকা ছেড়ে পাড়া-মহল্লা ও সড়কের ওপর চলে গেছে। স্থায়ী হাট গাবতলী, গোপিবাগ ও কমলাপুর হাট, কাউয়ার টেক হাট ও সাদেক হোসেন খেলার মাঠ ও আফতাব নগর হাটসহ রাজধানীর সব হাটেই কোরবানীর পশুতে ছেয়ে গেছে। নির্ধারিত স্থান অতিক্রম করে হাটগুলো আশেপাশের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে ওই সমস্ত এলাকায় বসবাসকারীরা পড়েছে চরম ভোগান্তির মধ্যে।
এদিকে ঈদুল আজহার আর মাত্র দুইদিন বাকি। এখনো কোরবানীর হাটের বেচা-কেনা জমে ওঠেনি। তবে গতকাল থেকে হাটে ক্রেতাদের পদচারণা বেড়েছে। বিক্রিও হয়েছে টুকটাক। আজ থেকে বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর প্রতিটি হাটেই দেশি গরুতে ছেয়ে গেছে। কোরবানীর হাটের জন্য নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে না যেতে সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ প্রশাসন থেকে বার বার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও তেমন একটা আমলে নিচ্ছেন না হাটের ইজারাদাররা।
কমলাপুর কবরস্থান এলাকার একজন বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেন, হাট বাড়তে বাড়তে আমার বাড়ির সামনে পর্যন্ত এসে গেছে। আমার বাড়ির একেবারে আঙ্গিনায় গরু তোলা হয়েছে। অথচ এনিয়ে আমি কোন প্রতিবাদ করতে পারছি না। কারণ যারা হাটের ইজারা নিয়েছে তাদেরকে এ নিয়ে কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই। আমাদের শুধু সহ্য করা ছাড়া আর কোন ক্ষমতাই নেই।
দেখা গেছে, সুনির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে কোন হাটই নেই। রাজধানীর সবকটি হাটই সীমানা পেরিয়ে আশেপাশের অলি গলি ও প্রধান সড়কে পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। কোনও হাটেরই সীমানা ঠিক নেই। কাউয়ার টেক ও সাদেক হোসেন খোকা মাঠের ভেতর হাট বসানোর অনুমোদন দেওয়া হলেও হাট চলে গেছে ধোলাইখাল সড়কে।
নারিন্দার অলিগলিতেও হাটের খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। গোপীবাগ-কমলাপুর হাটের গরু বাঁধা হয়েছে মতিঝিল প্রধান সড়কের ধারে। পাশাপাশি কমলাপুর বক্সকালভার্ট সড়ক পরিণত হয়েছে কোরবানির পশুর হাটে। এ সড়ক দিয়ে এখন আর যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। পোস্তগোলা শ্মশানঘাট হাটের পশু বেড়িবাঁধের দু’ধারে বাঁধা হয়েছে। আর পুলিশের উদ্যোগে হাটগুলোতে চলছে জাল টাকা শনাক্তের কাজ।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

