
সম্প্রতি আমেরিকায় গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যেচার করেছে প্রিয়া সাহা। বাংলাদেশে এখন অতিবগুরুত্বপূর্ণ ইস্যূ এটা। এবার এটা নিয়ে মুখ খুলেছেন সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। ইউটিউব চ্যানেল ‘ভয়েস বাংলা’য় মোস্তফা ফিরোজের একটি ভিডিও আপ করা হয়েছে। আর মোস্তাফা ফিরোজের এই ভিডিওতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, প্রিয়া সাহা আমেরিকায় যে মিথ্যাচার করেছেন তার অন্য একটি উদ্দেশ্য আছে। সেটি হল, হয়ত তিনি ট্রাম্পের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন সেই উদ্দেশ্য থেকে তিনি এ কথা বলেছেন। এটা কোনো আবেগপ্রসূত ঘটনা নয়। এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনাও নয়। এটি মূলত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক একটি ঘটনা। এর মূল কারণ হল, বাংলাদেশকে খাটো করা, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র’। আপনারা বুঝতে পারছেন বাংলাদেশকে যদি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা যায় তাহলে বাংলাদেশের আশপাশের রাষ্ট্র পুলকিত হয়। অথবা তাদের কাতারে নিয়ে আসতে পারে বাংলাদেশকে। আপনারা জানেন বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি দেশ। এর কারণ বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের কাছে প্রশংসিত। সেই ভাবমূর্তি নষ্ট ও ক্ষুন্ন করতে মিশন হিসেবে কাজ করেছে প্রিয়া সাহা।
হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য সংঘের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত বলেছেন, এই সংস্থা থেকে যে তিনকে আমেরিকায় পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে প্রিয়া সাহার নাম নেই। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে প্রিয়া সাহাকে কারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে? প্রিয়া সাহাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে হল, আমেরিকার একটি হিন্দু সংগঠন। তারা সাহাকে আলাদাভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে যাননি। এবং রানা দাস গুপ্ত স্পষ্ট বলেছেন, প্রিয়া সাহার বক্তব্যের সাথে সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রিয়া সাহার মিথ্যাচার- ‘৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু বিলীন হয়ে গেছে’। ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কছে এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশী এক নারী প্রিয়া সাহা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ২৭টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। তখন তিনি এমন অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

