

ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অভিযোগে ‘ইসকন’র বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত আলেম, আলোচক ও লেখক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ। আজ শনিবার তিনি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির অন্যন্য নজির স্থাপনকারী দেশ। এদেশে দীর্ঘকাল থেকে সকল ধর্মমতের লোকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কতিপয় দূষ্কৃতিকারীরা সবসময় দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার পায়তারা করতে থাকে। ইসকনের সাম্প্রতিক কার্যক্রম তারই অংশ।
তিনি বলেন, হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘ইসকন’ মুসলিম ধর্মীয় অনুভুতিতে চরমভাবে আঘাত করেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে বাচ্চাদেরকে নিজেদের ধর্মীয় স্লোগান ‘শ্রী কৃষ্ণ’ ‘হরে রাম, হরে কৃষ্ণ’ পাঠ করিয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও দেবদেবীর নামে তৈরীকৃত খাবার প্রসাদ খাইয়েছে; এই সাহস তারা কোথায় পেয়েছে? নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তি রয়েছে। আমি মনে করি এটার মাধ্যমে তারা মুসলামানদের উষ্কানী দিতে চাইছে। এদের উদ্দেশ্য মুসলমানদের উষ্কানী দিয়ে বহির্বিশ্বে মুসলামনদের উগ্র হিসেবে চিহ্নিত করতে।
মুফতী মিছবাহ বলেন, ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে ইসকনের বিরুদ্ধে আমি মামলা করব। দেশে শান্তি বজায় রাখতে এবং সকল ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ধরে রাখতে আইনের আশ্রয়ে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, সরকার এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আদালতে ইসকন নামক হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন ইসকনের নিষিদ্ধের দাবিও তুলবেন বলে জানান মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ।
প্রসঙ্গ, ‘ইসকন’ প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির এর ফুড ফর লাইফ এর উদ্যোগে ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের প্রায় ৩০টি স্কুলে এই কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণ কর্মসূচী পালন করে। প্রসাদ বিতরণের সময় মুসলিম শিশু কিশোরদেরকে দেব-দেবীর নামে তৈরিকৃত খাবার খাওয়ানো এবং হিন্দু ধর্মের মন্ত্র পড়াতেও বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ হলে আলোচনা-সামলোচনার শুরু হয়। হাইকোর্টও এ ব্যাপারে নিন্দা জানিয়ে মন্তব্য করেছে।
/এসএস