
‘৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু বিলীন হয়ে গেছে’। ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কছে এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশী এক নারী প্রিয়া সাহা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তার নিজের ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আজ শনিবার (২০ জুলাই) সকালে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু- বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। ঐক্য পরিষদের উচিত তাকে অবিলম্বে বহিস্কার করা ও তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করা। আরেকটা জিনিস বলি সবিনয়ে- এ পরিষদে মুসলমানদের রাখলে সমস্যা কি? এর নাম মুসলিম-হিন্দু- বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ হলে এটি আরও অসাম্প্রদায়িক শোনায় না?
তিনি আরও লেখেন, প্রিয়া সাহার অভিযোগ অবিশ্বাস্য, দু:খজনক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি উস্কানিমূলক। সরকারের বিষয়টি সিরিয়াসলি নেয়া উচিত। কারন এতে দেশের ইমেজ ক্ষুন্ন হতে পারে। এ বক্তব্য এমনকি ট্রাম্পের দেশে বাংলাদেশের সাধারন মুসলমানদের আরো নিরাপত্তাহীনতার আশংকায় ফেলতে পারে।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রিয়া সাহার অসত্য বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, দেশে ফিরলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আজ শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি যে স্বপ্ন দেখতেন একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ তৈরি হবে, সেটা নির্মাণে আমরা সফল হয়েছি। সেজন্য আজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থা আসছে। সেজন্যই তাদের সংখ্যা এখন বেড়েছে। এ সময় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ৮+ থেকে এখন ১০+ হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

