
‘৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু বিলীন হয়ে গেছে’। ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কছে এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশী এক নারী প্রিয়া সাহা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
সাহার এই অভিযোগ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন,এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। এটা চক্রান্ত অথবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আসলে যদি এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে ওই মহিলাকে বলবো সে যেন আমাদের সঙ্গে যোগাগোগ করে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই ধরণের ঘটনা বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। আর কোনোদিন করবেও না। কারণ আমাদের এটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের কঠর সাধনার মাধ্যমে এটা অর্জন করেছি।
তিনি ফেসবুকের ভাইরাল এ ঘটনা নিয়ে আরও বলেন, ফেসবুকের এই মহিলা তার দুঃখের কথা তো আমাদের কোনোদিন বলেননি। আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সতর্ক থাকেন, যাতে করে সংখ্যালঘুরা কোনো জায়গায় কোনোভবে নির্যাতিত না হয়।
গত ১৮ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ২৭টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। তখন তিনি অভিযোগ তুলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের কাছে নালিশ করা এই নারী প্রিয়া সাহা মহিলা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার স্বামী মলয় সাহা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গার চরবানিরী গ্রামে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

