বন্যায় বিপর্যস্ত নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারত; নিহত শতাধিক

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৯

ভারী বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারত। মৌসুমী বৃষ্টিতে তিন দেশের বেশির ভাগ নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় অন্তত ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বন্যার কারণে মারা গেছেন আরও শতাধিক মানুষ।

ভারতে সবচেয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশটির দারিদ্রপীড়িত প্রদেশ আসাম এবং বিহার। উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আসামে পানি বাড়তে থাকায় গত ১০ দিনে কয়েক লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় সরকারের এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর খবরে দেখা যায়, বিহারের অধিকাংশ এলাকার সড়ক ও রেলপথ ডুবে গেছে।

প্রকৃতির রোষানলে রাজধানী আগরতলা শহর সহ গোটা ত্রিপুরা৷ ১৩ হাজারের বেশী মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রিত। মাঝারি ও অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হচ্ছে গত ৪ দিন ধরে৷ সোমবার সকালের বৃষ্টিতে রাজধানী আগরতলা শহর জলে ডুবুডুবু অবস্থায় পরিণত হয়েছে৷ স্তব্ধ হয়ে পড়েছে স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত৷ ব্যহত স্বাভাবিক জনজীবন।

নেপালের বন্যায় অন্তত ১০,৩৮৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। রোববার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩। ২৪ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এখনও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এর আগে নেপালে মৌসুমি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৬ নাগরিক। শনিবার (১৩ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায়।

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রত্যেক বছর বন্যায় ব্যাপক পরিমাণে বাস্ত্যুচুতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বর্ষার শুরুর দিকে এই ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৮০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া মারা যায় আরো কয়েক হাজার গবাদিপশু।

বন্যার পানিতে ডুবে আসামে এক ডজনের বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল বলেছেন, ‘আসামের ৩১ থেকে ৩২টি জেলায় বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। আমরা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছি।

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন