জামাত ও ইসলামী আন্দোলনসহ লিয়াজো কমিটির বৈঠকে ৮ দলের নেতৃবৃন্দ: 

প্রকাশিত: ১:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৫

আনোয়ার হুসাইন(স্টাফ রিপোর্টার)

আগামী ১১ নভেম্বর রাজধানী ঢাকা সমাবেশকে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনরত ৮ দলের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ ৮ নভেম্বর দুপুর ১২ টায় জাগপা ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে আন্দোলনরত ৮ দলের লিয়াজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আলোচনায় বসার জন্য বিএনপিসহ সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু বিএনপি আমাদের আহ্বানে আলোচনায় বসতে রাজি নয়। তাহলে বিএনপি আহ্বান জানাক, দেশ জাতি জনগণের স্বার্থে আমরা আলোচনায় অংশ নিবো। কিন্তু কালক্ষেপণ করে গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের দিন নেওয়ার চেষ্টা করে কোন লাভ হবে না। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই অনুষ্ঠিত হতে হবে। জনগণের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামী ১১ তারিখ আমাদের জনসভা থেকে কঠোরতম কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

জাগপা সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান-এর সভাপতিত্বে ৮ দলের লিয়াজো কমিটির বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ন মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন ও যুগ্ন মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইজহার চৌধুরী ও সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ আতাহারী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হাক্কানি ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবু নাসের নূর নবী জনি ও অর্থ সম্পাদক রিয়াজ হোসাইন।

আন্দোলনরত দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো– জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং উক্ত আদেশের ওপর জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করণ, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

মন্তব্য করুন


আরও পড়ুন  

তাহিরপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের বাংলা বাজারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উত্তর বড়দল ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের এমপি পদপ্রার্থী হাফিজ মাওলানা মুফতি ফখর উদ্দিন।  সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উত্তর বড়দল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা এমদাদুল্লাহ সা’দ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসরুর আহমেদ আল-আমিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তাহিরপুর উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি নুরউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাওলানা সালমান আহমদ সুজন, তাহিরপুর উপজেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি জুনাইদ আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক কে এম মামুনুর রশিদ ও ছাত্র নেতা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।  বক্তারা বলেন, ৫ই আগস্টের পরও দেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতি চলছে। আমরা এই অন্যায়ের পরিবর্তন চাই। বর্তমান রাজনীতি মানেই যেন চাঁদাবাজি আর দুর্নীতির প্রতিযোগিতা—এর অবসান ঘটাতেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাজ করছে। তারা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।  প্রধান অতিথি হাফিজ মাওলানা মুফতি ফখর উদ্দিন বলেন, আগে গ্রামে-গঞ্জে ডাকাত ছিল, এখন কলম দিয়ে ডাকাতি হয়। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা এ দৃশ্য দেখে আসছি। যারা দিনে এক কথা আর রাতে আরেক কথা বলে, তাদের জনগণ চেনে।  তিনি মিয়ারচর ফেরিঘাটের ভোগান্তির প্রসঙ্গ তুলে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান—জরুরিভিত্তিতে এই ঘাটে দুটি নৌকা সংযোজন করা প্রয়োজন।  তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বাজেটের টাকা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো হতো, তাহলে আজকের বাংলাদেশে দারিদ্র্য থাকত না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকার গঠন করতে পারলে শতভাগ বাজেট জনকল্যাণে ব্যয় হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও হাওর অঞ্চলের মানুষের পক্ষে কাজ করাই হবে আমাদের অঙ্গীকার।