
আজ ১৭ জুলাই বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কুলখানী অনুষ্ঠিত হবে। হুসেই মুহম্মদ এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় সবাইকে কুলখানীতে অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবং সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান- এর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে রংপুরেই সামহিত হচ্ছেন সদ্য প্রয়াত জাতীয় জার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। মঙ্গলবার সকালে পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হয় তার জন্মভিটা রংপুরে। সিদ্ধান্ত ছিলো বাদ জোহর সেখানে চতুর্থ জানাজা শেষে ঢাকায় এনে সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দাফন সংক্রান্ত ব্যাপারে সকালে তেজগাও পুরাতন বিমানবন্দরে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান জি এম কাদের বলেছিলেন, ‘এরশাদ একজন আন্তর্জাতিক মানের রাজনীতিক। যথাযথ সম্মানের জন্য তাকে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা উচিৎ’।
- অন্যদিকে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টিরে নেতৃবৃন্দ এরশাদকে তার অসিয়ত অনুযায়ী পল্লী নিবাসে সমাহিত করার দাবিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। স্থানীয় নেতাকর্মীরা গতকাল সোমবার অগ্রিম সেখানে কবর খুড়ে রাখে এবং যেকোনো মূল্যে রংপুর থেকে এরশাদের মরদেহ আনতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণাও দেয়।
পরে গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর রংপুর কালেক্টর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে লাশ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে মেয়র ফিজার ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। লাশ নিয়ে এগোতে না দিয়ে এরশাদের নির্মিত বাসভবন পল্লী নিবাসের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। পরে বাধ্য হয়ে সেখানেই তাকে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, এরশাদের স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ার রওশন এরশাদ শেষ পর্যন্ত তাকে রংপুরেই দাফনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে দশটার কিছু পরে রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা পৌনে ১২টায় মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্টের হেলিপ্যাডে পৌঁছায়। এসময় এরশাদকে একনজর দেখতে ভিড় করেছে হাজার হাজার মানুষ। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে বন্যা উপেক্ষা করে কালেক্টরিয়েট ঈদগাহ মাঠে সমবেত হয়েছেন হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ।
এসএস/ আইএ/পাবলিক ভয়েস

