
বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে চাঞ্চল্যকর শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বরিশাল নদীবন্দর থেকে চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের আটক করা হয়। আটক চারজনের বাড়িই বরগুনায়। তবে আটককৃতরা রিফাত হত্যা মামলার আসামি কি না তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেট্রোপলিটন পুলিশ বরিশাল নদীবন্দর থেকে চার যুবককে আটক করে।
তিনি জানান, আটক চারজনের প্রত্যেকের বাড়ি বরগুনায়। তাদের মধ্যে একজনের চেহারার বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার এক আসামির সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে আটককৃতরা রিফাত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কি না তা নিশ্চিত নই।
বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বরগুনা জেলা পুলিশকে চার যুবককে আটকের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তারা বরিশাল নগরীতে এসে তারা তাদের দেখার (শনাক্ত) পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। রিফাত হত্যায় সম্পৃক্ততা থাকলে চারজনের আটকের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। আর সম্পৃক্ততা না থাকলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
এদিকে বরগুনা সদর থানা পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সকালে মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন এবং দুপুরে মো. হাসান নামে একজনকে গ্রেপ্তারের পর রাতেও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বরগুনায় তৃতীয়জন গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করলেও তার নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। আসামিরা হলেন নয়ন, রিফাত, রিশান ছাড়াও এই মামলার এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলো- চন্দন, মো. মুসা, রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রায়হান, মো. হাসান, রিফাত, অলি ও টিকটক হৃদয়।
আসামিদের সবাই ছাত্রলীগ নামধারী এবং ছাত্রলীগ পরিচয়ে পুরো বরগুনা দাপিয়ে বেড়াতো বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এর আগে রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নারী ঘটিত বিরোধের জের ধরে গত বুধবার সকালে বরগুনা পৌর শহরের সরকারি কলেজ রোড এলাকায় ডিশ ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। ওই দিন বিকেল ৪টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

