
ভয়েস ডেস্ক: আজ ২০ জুন (বৃহস্পতিবার) নারী জাগরণের অগ্রদূত কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯১১ সালের ২০ জুন তিনি বরিশালের শায়েস্তাবাদে মামার বাড়িদে জন্মগ্রহণ করেন।
সুফিয়া কামালের পিতা সৈয়দ আব্দুল বারী ছিলেন কুমিল্লার বাসিন্দ এবং মাতা সৈয়দা সাবেরা খাতুন ছিলেন শায়েস্তাবাদের নবাব বাড়ির মেয়ে।
সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
সার্চ ইঞ্জন গুগলও মহীয়সী এ নারীর সম্মানে ডুডল করেছে।
১৯১৮ সালে সুফিয়া কামালের বয়স যখন সাত বছর তখন তাঁর বাবা সাধকদের অনুসরণে নিরুদ্দেশ যাত্রা করেন। এরপর থেকে তিনি মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতেই থাকেন। তাঁর শৈশবও কেটেছিল নানার বাড়িতে।
১৯২৪ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মামাতো ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। ১৯৩২ সালে স্বামী নেহাল মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ১৯৩৯ সালে তিনি কামালউদ্দিন আহমেদের সাথে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি কলকাতায় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯৩৭ সালে তাঁর প্রথম গল্প সংকলন ‘কেয়ার কাঁটা’ প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৩৮ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’ প্রকাশিত হয়ে। বইটির মুখবন্ধ লেখেন কাজী নজরুল ইসলাম।
দেশভাগের পূর্বে তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘বেগম’ পত্রিকার মসমআদক ছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন।
১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৭৬ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশী নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন। প্রতি বছর এই দিনটিতে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করা হয়।
/এসএস

