ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে ভোলায় ভারি বর্ষণ, চরাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৯

ভোলা প্রতিনিধি ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র প্রভাবে ভোলায় শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। সেই সাথে জেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুর সকাল থেকে কয়েক দফায় বৃষ্টি হলেও দুপুরের পর থেকে ভারি বর্ষণ ও সাথে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আকাশ ক্রমান্ময়ে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেছে।

এছাড়াও ভোলার বিচ্ছিন্ন চর পাতিলা, ঢালচর, কলাতলীর চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এতে করে ওইসব এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এদিকে চরাঞ্চলগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হচ্ছে।

ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, অতি জোয়ারে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেশিরভাগ বিস্তীর্ণ এলাকা দুই ফুট পানির নিচে রয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

চরফ্যাশন বন বিভাগের বিট অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, অতি জোয়ারে কুকরী-মুকরী বাঁধের বাইরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর প্লাবিত হয়েছে। আমরা লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছি। পাশাপাশি নৌ-পথে অনেক মানুষকে মূল ভূখণ্ডে আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

অপরদিকে সকাল থেকে ভোলায় রৌদ থাকলেও দুপুরের পর থেকে পুরো আকাশ মেঘে ডেকে যায়। শুরু ভারি বর্ষণ ও দমকা হাওয়া। এতে করে পুরো জেলায় ঘুর্ণিঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, ঘুর্ণঝড় ফণীর ক্ষতি থেকে বাঁচতে জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৮ টি কন্ট্রোল রুম, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেক কয়েক দফায় ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। এছাড়ারাও দুর্যোগকালিন সময়ের জন্য ২হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও দুই শ’ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন