
পাবলিক ভয়েস: প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র প্রস্তাবিত ও সংশোধিত ব্রেক্সিট চুক্তি ফের প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে থেরেসার বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৩৯১টি। আর তার সমর্থনে ভোট দিয়েছেন মাত্র ২৪২ জন সদস্য।
এরপর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানান, আজ বুধবার পার্লামেন্টে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নিয়ে ভোটাভুটি হবে। তখনই ঠিক হয়ে যাবে, ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে ব্রিটেনের হাতে আদৌ কোনো চুক্তি থাকছে কি না।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে দাবি করেছিলেন, তাকে যেভাবে বলা হয়েছিলো সেভাবেই তিনি সংশোধন করেছিলেন ব্রেক্সিট চুক্তি। তার আশা ছিল, এবার আর তাকে ফেরাবেন না ব্রিটিশ এমপিরা। কিন্তু ভোটের ফল অন্য কথা বলছে। এমপিদের এই রায়ের ফল বলে দিচ্ছে, ইইউয়ের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ দু’মাস অসংখ্য বৈঠকে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
গত ১৬ জানুয়ারি পার্লামেন্টে প্রথম ব্রেক্সিট চুক্তি পেশ করেছিলেন থেরেসা। কিন্তু সে বারও তিনি শোচনীয় ভাবে হেরে যান। প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয় দ্রুত চুক্তির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পাল্টানো হোক। না হলে এই চুক্তি পাশ হবে না।
সংশোধিত চুক্তিতে অনুমোদন জোগাড়ের জন্য গত দু’মাস ধরে ক্রমাগত ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। গত সোমবার রাতেও স্ট্রাসবুর্গে ইইউ প্রধানদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন। সংশোধিত চুক্তিতে সায় দিয়েছিল ইইউ, তবে একটি শর্তে— দু’বছরের মধ্যে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে স্পষ্ট বাণিজ্য নীতি তৈরি করতে হবে ব্রিটেনকে। ইইউয়ের সেই সবুজ সঙ্কেত হাতিয়ার করেই ভোট ময়দানে নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতেও কিছু লাভ হল না।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ভোটাভুটির পর সে দেশের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এখন উচিত সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করা। এবার তার নিজের রক্ষণশীল দলের ৭৫ জন তার প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এ সংখ্যা প্রথমবারের ভোটের সময় ছিলো ১১৮।
এর আগে এমপিদের সতর্ক করে থেরেসা মে বলেছিলেন, তার প্রস্তাবে সমর্থন না দিলে সেটি ব্রেক্সিট না হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হলেন তিনি।

