

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মসূচি পালনকালে ঢাকার বায়তুল মুকাররম, চট্টগ্রামের হাজহাজারী ও বি.বাড়িয়ায় সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশী হামলায় নিহতদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল আজ সোমবার আছরের পরে বায়তুল মুকাররমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হকের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা নূরুল ইসলাম।
দোয়া মাহফিলে বক্তাগণ বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী এবং পুলিশ বাহিনীর যৌথ হামলায় নিরীহ ১৭ জন কর্মী শাহাদত বরণ করে এবং ৫ শতাধিক কর্মী গুরুতর আহত হয় এবং ২০ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সাথে সাথে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি জানাচ্ছি।
বক্তাগণ বলেন, সরকার গুজরাটের ঘৃণিত কসাই খ্যাত নরেন্দ্র মোদীকে সুবর্ণজয়ন্তীতে দাওয়াত করে এনে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে কলঙ্ক লেপন করেছে। সুবর্ণজয়ন্তী দেশবাসী যখন সম্মিলিত অংশগ্রহণে উদযাপন করার কথা ভাবছিল, তখন সরকার জনগণের রক্তের হোলি খেলায়
মেতে উঠেছে। এই সরকার ২০১৩ সালেও হেফাজতের রক্তে রঞ্জিত করেছিল শাপলা চত্ত্বর, আজও হাটহাজারী-ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াকে রক্তাক্ত করেছে।
বক্তাগণ আরও বলেন, অনতিবিলম্বে যদি গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি না দেওয়া হয়, আহতদের যদি সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করে, নিহতদের যদি যথাযথ ক্ষতিপূরণ না দেয়, তাহলে হেফাজত অচিরেই কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা ফজলুর করীম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন রাজি, মাওলানা মুনীর কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, অধ্যাপক আব্দুল জলিল, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মাওলানা জাবের কাসেমী, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা আবদুল মুমিন, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা শরীফ হুসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস