প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান মানার কোনো কারণ নেই : ফখরুল

প্রকাশিত: ১:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

পাবলিক ভয়েস: জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে ডাক দিয়েছেন তা মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ তারা যে বিষয়টি নির্বাচনের সময় দেখিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যে সংলাপ হলো সেই কথাগুলো কি উনি রাখতে পেরেছেন? একটাও রাখেননি।

তিনি বলেছেন কোনো গ্রেফতার হবে না, নতুন কোনো মামলা হবে না। একটাও তারা রাখেননি এবং নির্বাচনের জন্য একটা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে এসবের কিছুই করা হয়নি। আজকের যে কথাগুলো ওনি বলছেন এটা তিনি সবসময়ই বলেন। এটা তার কথার কথা। আর আমরা তো ফলাফল প্রত্যাখান করেছি। সেখানে  শপথ নেওয়ার ও পার্লামেন্টে যাওয়ার এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই উঠে না।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় নিজের দলের অবস্থান তুলে ধরে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আস্থার সংকট থেকে বক্তব্য দিয়েছেন। আমার কেন জানি না মনে হয়েছে জিনিসটা ঠিক হয়নি। কোনো একটা ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন সেই ব্যাখ্যাটা উনি দিয়েছেন। কেন বিএনপি ভালো করতে পারলো না কোনো তারা ভালো করলেন সেই বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে ফিরিস্তিগুলো দিয়েছেন এখানে বিরাট রকমের গড়মিল রয়েছে। আমরা আগেও বলেছি। এই উন্নয়নের যে কথা বলা হচ্ছে এই উন্নয়ন পুরোপুরি ধোঁকার উন্নয়ন। কিছু মানুষ বড় হচ্ছে। অত্যন্ত ধনী হচ্ছে পত্রপত্রিকায় আসছে যে বাংলাদেশে ধনীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।

আর গরীব গরীব হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নিচে চলে যাচ্ছে। জীবন ও বিনিয়োগেরে কোনো নিরাপত্তা নেই। ব্যাংকে যারা টাকা রাখছেন তারাও দেখছেন বিভিন্ন ভাবে তাদের টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে এবং দূর্নীতি এমনভাবে বেড়েছে যে, কেউ প্রশ্নও করতে পারে না। এটা পুরোপুরি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চলছে। এবং সেটা করার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার কাছে মনে হয় এই নির্বাচন বাংলাদেশে একটা বড় রকমের ক্ষতি করে দিয়েছে দীর্ঘস্থায়ী। এই নির্বাচনের ফলে মানুষের নিবার্চন প্রতিষ্ঠান, কমিশন, রাষ্ট্রের উপর আস্থা চলে যাচ্ছে এজন্যে যে রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্ন এজেন্সীগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে।

সমগ্রভাবে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে রাষ্ট্রকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সব মানুষই মনে করে এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হয়নি। আপনারা জানেন বিএনপি, জোট ঐক্যফ্রন্ট এই নির্বাচন প্রত্যাখান করেছি এবং পুনরায় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে আমরা একটা নির্বাচন দাবি করেছি। এই নির্বাচনে জনগণ যেন তাদের রায় দিতে পারে তার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা বলেছি।

তিনি বলেন, সাধারণত আমরা কি দেখি, একটা নির্বাচনে বিজয়ের পরে এই ধরণের ইস্যূ কেউই আনে না। কিন্তু ওনি বিএনপির ব্যাপারে অনেক কথা বলেছেন তার চিন্তাভাবনা থেকে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, কেউ যেতে চাচ্ছে না কেন? কারণ ভয়ে।

কোনো মিডিয়াও বলছে না। অন্যরাও বলতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া, রাজনীতি সর্ম্পকিত বিভিন্ন দেশগুলো থেকে বক্তব্য আসছে। যে সমস্ত রির্পোট আসছে তাতে করে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হয়নি। এটা জাতির সঙ্গে একটা কঠিন তামাশা হয়েছে।

মন্তব্য করুন