

পাবলিক ভয়েস: আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে আ.লীগের অভূতপূর্ব বিজয়ের পর বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে না।
বিএনপির আন্দোলনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নেরই নামান্তর। গতকাল বুধবার ঢাকার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নবনির্মিত ভবনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ডাকে জনগণ সাড়া দেবে, দেশে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেনি। একটি ভূমিধস বিজয়ের পর এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলনে নামবে, ফখরুল সাহেবের আহ্বানে সাড়া দেবে, এ ধরনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নের নামান্তর।’
বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমি কোনো কমিশন নিই না, পার্সেন্টেজ নিই না। আমি এর অংশীদার হতে চাই না। যাদের জন্য সুনাম নষ্ট হচ্ছে তাদের সংশোধন হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। নইলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিএকে অবশ্যই দালালমুক্ত করতে হবে। যাদের কারণে বিআরটিএ’র সুনাম নষ্ট হবে তারা সংশোধন না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, বিআরটিএকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে ভেতরে-বাইরে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। দালালের সঙ্গে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ পাওয়া গেলে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, গাড়ি না এনেও (দেখিয়েও) গাড়ির ফিটনেস সংগ্রহ করা যেত টাকা-পয়সার বিনিময়ে। এই ছবির পরিবর্তন কিছুটা হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি এ দৃশ্যপটের পরিবর্তন চাই। এসব জনহয়রানি বন্ধ করতে হবে। জনসেবায় যেন কোনো প্রকার হয়রানি না হয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেছেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের। সেই অঙ্গীকার আমরা পূরণ করতে চাই। কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। আমি বার্তা দিচ্ছি, দুর্নীতিমুক্ত বিআরটিএ চাই।’
মেঘনা ও গোমতী সেতু টোলপ্লাজায় টোল আদায়ের নামে যেন হয়রানি না করা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি সহজতর উপায়ে টোল আদায় করেন। বলেছিলাম ভাংতি নিয়ে টোলপ্লাজায় আসতে। ভাংতি দেয়ার নাম করে বিলম্ব করে। টোল আদায়ে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রাজধানীতে গরিব চেহারার ফিটনেসবিহীন যানবাহন এখনও কীভাবে চলছে- তা বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানের কাছে জানতে চান মন্ত্রী। জবাবে তিনি বলেন, প্রতিদিনই এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এসব গাড়ি না চালাতে মালিকদের অনুরোধ করা হলেও তারা মানে না। কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় এসব যানবাহনকে জব্দ করা যাচ্ছে না। তখন ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য একটি জায়গা চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
পদ্মা সেতুর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সফলতার সঙ্গে আরেকটি স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতু এক কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ৬৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।