

করোনা চিকিৎসায় ব্যবস্থায় ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে উল্লেখ করে এগুলোর বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনার জরুরি বলে মন্তব্য করোছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যত্রতত্র মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার ও কৌটা ফেলে রাখায় ক্রমাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে’।
আজ শুক্রবার (২৬ জুন) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধ এবং চিকিৎসায় যেসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে সেগুলোর যথাযথ বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। যত্রতত্র মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, কৌটা ইত্যাদি ফেলে রাখায় একদিকে যেমন দূষণ বাড়ছে, অপরদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ এসব পরিত্যক্ত সামগ্রী নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যাতে স্বাস্থ্যসম্মত হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
যেসব পরিবহনে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গণপরিবহনের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যাত্রী সংকট রয়েছে। দূরপাল্লার বাস চলছে স্বল্পসংখ্যক। অথচ কিছু পরিবহন অধিক ভাড়া আদায় করছে- এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমি বিআরটিএকে এ বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ডাম্পিংসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলছি।
করোনা প্রতিরোধে সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না- বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি করোনা সংকটের শুরু থেকে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন না করে সরকারের সমালোচনাকে নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে । আর কতো সমালোচনা করে জাতিকে অসত্য তথ্য দিয়ে যাবেন?
এতে বিএনপির জনসমর্থন বেড়েছে কি না-সেই প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার শুরু থেকে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দিনরাত পরিশ্রম করে সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহসহ কর্মহীন অসহায় মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ জগতের তাবৎ সমৃদ্ধ শক্তির দেশগুলো সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’
’আমি বলতে চাই, কোন দেশের পূর্ব প্রস্তুতি শতভাগ ছিল? কোন দেশের সীমাবদ্ধতা ছিল না? শুধু সমালোচনা করতে হবে বলে আপনারা অনবরত জাতিকে অসত্য তথ্য দিয়ে যাবেন?
তিনি বলেন, ‘যারা জীবন বাজি রেখে কাজ করছে সেবা করতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে, বিএনপি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে কথা বলে না। তাদের মন ভেঙে না যায় তা নিয়ে বক্তব্য দেয় না। নেতিবাচকতা তাদের এতটাই গ্রাস করেছে যে তারা দিনের আলো রাতের আঁধার দেখতে পায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এই সংকটে দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছি। এখন কোনো রাজনীতি নয়। একটাই রাজনীতি সংক্রমণ রোধ ও মানুষ বাঁচানো। এ সময় জনগণ কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চায় না, এটা মানুষ পছন্দ করে না। অথচ তারা এমন আজগুবি তথ্য দেয় যার জবাব না দিয়ে পারা যায় না। আমরা তাদের উসকানিমূলক এবং জনবিরোধী অংশ নিতে চাই না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার সব সময় সবার সহযোগিতা চেয়ে আসছে। যেকোনো গঠনমূলক পরামর্শ কিংবা ভুল ধরিয়ে দিলে সেটা গ্রহণ করার সৎসাহস শেখ হাসিনা সরকারের আছে। সমস্যা থেকে উত্তরণে বিএনপি কোনো সাজেশন রাখছে না শুধু অন্ধ সমালোচনাকে রুটিন ওয়ার্কে পরিণত করেছে।’###
এনএইচ/ পাবলিক ভয়েস